সৌদি প্রবাসী যুবকের পুরুষাঙ্গ পুড়িয়ে দিলো বিয়ে পাগল প্রতারক স্ত্রী

প্রেম-বিয়ের ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নেশা মন্টি নামে এক তরুণীর। এনিয়ে অন্তত ৮/১০টি বিয়ে করেছে মন্টি। তাদের একজন নরসিংদীর সৌদি প্রবাসী যুবক রাসেল।

জানা গেছে, রাসেলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন চালোনা হয়। অবশেষে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসে নির্যাতিত যুবক নিজেই একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এ তথ্য ও একটি ভিডিও দিয়েছেন।

নির্যাতিত রাসেলের ভাষ্য মতে, তিনি একজন সৌদি প্রবাসী। ৩ মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। বিদেশে থাকাকালীন তার শ্বশুর নয়ন ইসলাম ব্যবসা করার কথা বলে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার নেন। তিনি দেশে ফেরার পর পাওনা টাকা ফেরত চাইলে শ্বশুর তালবাহানা করতে থাকেন। পরে তার স্ত্রী মন্টির সহায়তায় মিথ্যা মামলায় রাসেলসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা করেন।

‘জামিনে বেরিয়ে এলে একপর্যায়ে বিবাদ মিমাংসা করার কথা বলে ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাকে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ডেকে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভুয়া পুলিশ সাজিয়ে গ্রেপ্তারের নামে অপহরণ করে তাকে।

রাসেল আরও অভিযোগ করেন, অপহরণের পর তার উপর নির্যাতন করা হয়। তার বড় শ্যালক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পাপ্পু ও তার বন্ধুরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাপ্পু ও তার বন্ধুরা শ্বশুর নয়ন ইসলামের নির্দেশে আবারো নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে তার পুরুষাঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দিয়ে ছবি তোলে, মোবাইলে ভিডিও করে।

তারপর সেই নির্যাতনের ভিডিও রাসেলের মাকে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়। আইনের সহায়তা না নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হয়। এতে তার মা হার্ট অ্যাটাক করেন বলে জানান রাসেল।

রাসেলের অভিযোগ করেন, চক্রের মূল হোতা তার কথিত স্ত্রী মন্টি। প্রতারণার জন্য সে অন্তত ৮/১০টি বিয়ে করেছে।

পরে, কৌশলে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসেন রাসেল। নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করতে গেলে অস্ত্র হাতে তোলা সেসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে মামলা না করেই ফেরত আসেন রাসেল।