জুমবাংলা ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি সাইবার নিরাপত্তা আইন পড়েনি। না বুঝেই তারা এমন মন্তব্য করেছে। অংশীজনরা দেখুক, আপনারাও দেখুন, তারপর আপনারা যদি আলাপ করতে চান…।
সাইবার নিরাপত্তা আইন জনগণের জন্য আরো ভোগান্তির কারণ হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আইনজীবীরা বলেছেন মানুষের হয়রানি কমবে না আর পুলিশকে অবারিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের কোনো পদক্ষেপই ভালো মনে করেন না। কিন্তু আমাদের নেয়া পদক্ষেপে দেশের জন্য সব সময়ই ভালো হয়।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৬ ধারাগুলো অজামিনযোগ্য রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে এসব ধারা জামিনযোগ্য থাকবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশের অপরাধে এখন সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। সেটি কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে। এটি আগে অজামিনযোগ্য ছিল। এখন জামিনযোগ্য করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৬০টি ধারায় অপরাধ, সাজাসহ বিভিন্ন বিষয় বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য যেসব ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল, সেই ধারাগুলো প্রস্তাবিত আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে অনেকগুলো ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজামিনযোগ্য ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।