স্পোর্টস ডেস্ক: মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনেও দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নান্দনিক টেস্ট ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের লিডটাকে আরো বড় করছে টাইগাররা। এদিকে দলের ব্যাটিং সাফল্যের রচয়িতার ভূমিকায় ছিলেন তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে গোটা দলের। যদিও কাঙ্ক্ষিত শতকের দেখা পাননি জয়। ফিরেছেন ৭৮ রানে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জানিয়েছেন, সফলতার মূল মন্ত্র।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় জয় জানান, কিউই বোলারদের নাম না দেখে বল দেখে খেলেছেন তিনি। রানের কথা চিন্তা না করে বেশি বেশি বল খেলেই সফল হয়েছেন।
জয় বলছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা। ওরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল। আমি এক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের নাম না দেখে বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি।’
সঙ্গে যোগ করেন ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই তরুণ, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিল, সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, মুমিনুল ভাই– সবাই একই কথা বলেছে। এটাই ছিল উইকেটে শান্ত থাকার কারণ।’
৭৮ রানের ইনিংসটি ছিল শ্লথগতির, পুরোপুরি টেস্ট মেজাজের। যেখানে ২৮৮টি বল খরচ করেন জয়। এতে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দেশের বাইরে প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি। সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে এক ইনিংসের ২০০ এর অধিক বল খেলা প্রথম ওপেনার বনে যান জয়।
জয় জানালেন, এ সবই হয়েছে সিরিজের আগে দুদিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার বদৌলতে। যেখানে ৬৬ রান করে আত্মবিশ্বাসে রসদ পেয়েছেন তিনি।
জয়ের ব্যাখ্যা, ‘মূল ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলেছি, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। সেখানে আমি খেলার সুযোগ পাই এবং মোটামুটি ভালোই করি। সেখান থেকেই আমি আত্মবিশ্বাস পাই যেটা মূল ম্যাচে মোটামুটি পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কাছ থেকে দারুণ সমর্থক পেয়েছি। আমি যে নতুন দলে এসেছি সেই চাপটা আমি অনুভব করিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই আমাকে সাহায্য করেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।