জুমবাংলা ডেস্ক : ১৭ দিন আগের কথা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর-ত্রিলোচনপুর মাঠের মধ্যবর্তী স্থান থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন কেয়া খাতুন। ১৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে পাওয়া গেছে। তবে জীবিত নয়, মৃত।
অর্ধগলিত মৃতদেহটি উদ্ধারের পর নিহত ছাত্রীর বাবা সামাউল মণ্ডল জামা-কাপড় আর পায়ের স্যান্ডেল দেখে লাশ শনাক্ত করেন। আজ শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দাদপুর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কেয়া খাতুন উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামের সামাউল মণ্ডলের মেয়ে। তিনি বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার থেকে চলতি বছর অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে উঠেছিলেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, কলাক্ষেতে অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
কেয়ার দাদা মোশারফ মণ্ডল জানান, প্রায় চার মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়ার। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গরু ও গাছ বিক্রির ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তার নাতনি বাড়ি থেকে চলে যান। সেদিন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের ঘটনায় গত ১ মার্চ কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
মোশারফ মণ্ডল আরো জানান, তার নাতনি হত্যা ঘটনার সঙ্গে ত্রিলোচনপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজিম ও সলেমানের ছেলে মিলন জড়িত। জিডির পর পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, ওই মাদ্রাসাছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি হয়। জিডির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আজিম নামের একজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে অভিযুক্ত পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



