আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে অভিযান চালানো নিয়ে মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তার দেশ স্থিতিশীল রয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। খবর পার্সটুডে’র।
পুতিন বৃহস্পতিবার পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদর সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘পশ্চিমা সরকারগুলো অদূরদর্শী, স্থূল রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং রুশফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি এবং নাগরিকদের মঙ্গলের ক্ষেত্রে কঠিন আঘাতের মুখোমুখি হয়েছে।’
পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউরোপে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি দেখতে পাচ্ছি। কিছু দেশে তা ২০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এটা স্পষ্ট যে নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা অনিবার্যভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। রাশিয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে।’
গত মার্চ মাসে দেশটির ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমিয়ে মুদ্রা হিসেবে রুবলকে শক্তিশালী করে তোলার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন পুতিন। ইউক্রেন সংকট শুরুর পর থেকে দেশটির মুদ্রা রুবল এখন সবচেয়ে শক্তিশালী; বরং যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও এখন রুবল শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
কঠোর পুঁজি নিয়ন্ত্রণ এবং জ্বালানি রপ্তানির কারণে রুবল এখন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুতিন বলেন, ‘রুবল সম্ভবত সমস্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রার মধ্যে সেরা গতিশীলতা দেখাচ্ছে।‘’ মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুবল এমন সময় ঘুরে দাঁড়াল যখন গত মার্চ মাসের গোড়ার দিকে এই মুদ্রার ভয়াবহ মূল্যপতনের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।