জুমবাংলা ডেস্ক: পটুয়াখালীতে এবছর সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রসালো এই ফলটির আবাদ করেছেন জেলার ৮ উপজেলার সহস্রাধিক কৃষক। গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবার এই জেলার তরমুজ বিক্রি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে এমন আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানায়, এবছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এই উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। এছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় ১ হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর তরমুজের আবাদ হয়েছে। বেশির স্থানেই তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার সব উপেজলায় তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের কেউ খেতের তরমুজ বড় করার জন্য পরিচর্চা করছেন। কেউ আবার খেত থেকে কেটে তরমুজ স্তূপ করে রাখছেন। কোনো কোনো কৃষককে বিক্রি করা তরমুজ ট্রলিতে তুলতে দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এসব তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গলাচিপার বোয়ালিয়া এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর আমাদের এলাকায় তরমুজের আবাদ বেশি হয়েছে। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আমরা দামও ভালো পেয়েছি। অনেকেই বিগত বছরের লোকশান পুষিয়ে নিয়েছেন।
রাঙ্গাবালীর বড় বাইজদা এলাকার কৃষক শানু মিয়া বলেন, অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আল্লাহর কাছে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি। ইতোমধ্যে আমার অর্ধেক জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। ৩০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও ২০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো।
পটুয়াখালীর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। সাড়ে ৬ লাখ মেট্টিক টন তরমুজ উৎপাদিত হবে। এসব তরমুজের প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। এসব তরমুজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তরমুজ আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোঁআশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাধু এবং ক্রেতাদের কাছেও এই সুস্বাধু ফলটি জনপ্রিয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।