জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য বিভাগের তৎপরতা না থাকায় পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে অক্সিজেন দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা।
দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে নৌকার উপর একটি বড় অক্সিজেনের বোতল তার সাথে লাগনো বিশাল একটি চিকন পাইপ তার মাথায় একটি মুখোশ লাগানো রয়েছে। সেটি মুখে লাগিয়ে আলাদা আরেকটি রশি দিয়ে মাজায় বেধে ও সেলো ইঞ্জিন দিয়ে অক্সিজেন নাকে মুখে নিয়ে নদীর মাঝে পানির নিচে চলে যাচ্ছে। নদীর তলদেশে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে হাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরে কাছে থাকা প্লটিকের বস্তায় ঢুকিয়ে তার মুখ বেধে নৌকায় উঠায়।
এই অবৈধ পন্থায় পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন এক থেকে দেড় মণ করে মাছ ধরছে জেলেরা। এতে কোন রকম তৎপরতা নেই মৎস্য বিভাগের। অবৈধ অক্সিজেন দিয়ে বড় চিড়িৎ, নিঠামাছ, রুইমাছ, আড়াই মাছ, বোয়াল মাছ, বাঘাইড় মাছসহ বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরছে জেলেরা।
কুষ্টিয়া থেকে আগত জেলে হেকমত ও নাজিম বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে নদীতে এভাবে অক্সিজেন দিয়ে মাছ ধরছি। আমরা দুজনে পদ্মা নদীর নিচ থেকে হাত দিয়ে মাছ ধরি। পানির নিচে অক্সিজেন নিয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা থাকতে পারি। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এভাবে নদীতে মাছ ধরে থাকি। সেই মাছ বিক্রি করে টাকা চারজনে ভাগ করে নেই।
অপর দুই জেলে জয়নাল ও আতিক বলেন, বাহির থেকে আসা জেলেরা অবৈধভাবে অক্সিজেন দিয়ে মাছ ধরছে । আজ কয়েক মাস ধরে আমরা নিষেধ করলে শুনে না। তাদের জন্য আমাদের নদীতে মাছ কমে যাচ্ছে। জালে এখন আর আগের মত মাছ ধরা পড়ে না। তারা নদীর পানির নিচে গিয়ে হাত ও আলাদা যন্ত্র দিয়ে মাছ ধরে এলাকার প্রভাবশালীদের আড়তে বিক্রি করাতে কেউ তাদের কিছু বলতে সাহস করে না। এভাবে মাছ ধরা বন্ধ না হলে আমাদের এলাকার জেলেরা সংসার চালাতে হিমশিম খাবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.শাহরিয়ারজ্জামান সাবু জানান, অক্সিজেন দিয়ে মাছ ধরা মৎস্য আইন এখনো তৈরি হয়নি। এটা অবৈধ। আমাদের এখানে ৩ হাজার ৭ শত জেলে রয়েছে। তারা যদি তাদেরকে নদী থেকে সরাতে না পারে তাহলে আমাদের সহায়তা নিবে। বাহিরের জেলেদের কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না। অক্সিজেন দিয়ে মাছ ধ্বংস করা যাবে না। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।