
জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় পদ্মা সেতুর একটি মডেল তৈরি করে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন সূতিপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সুলতান উদ্দিনের ছেলে সোহাগ আহমেদ।
ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুলের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী সোহাগ। পারিবারিক অবস্থাও ভালো না। তাই সোহাগের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ধামরাইয়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ।
করোনাকালীন সময়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় তৈরি করেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু সাদৃশ্য সেতু। বিষয়টি প্রথমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের নজরে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেতুটি দেখেন বেনজীর আহমদ এবং সোহাগ আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি সোহাগের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়াসহ সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্যের একান্ত সচিব বিল্লাল হোসেন ও ধামরাই উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রতিনিধি হয়ে সোহাগের তৈরি পদ্মা সেতুটি দেখতে যান।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের একান্ত সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, সোহাগের প্রতিভার মূল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে। দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী হয়ে সে পদ্মা সেতুর আদলে আরেকটি সেতু তৈরি করেছে। এটি সত্যিই প্রশংসার বিষয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতুর নাম শুনেই সোহাগের ইচ্ছে হয় সে নিজে ওই সেতুতে কাজ করবে। কিন্তু তা কিছুতেই সম্ভব না। এরপর বাঁশ-মাটি নিয়ে সেতু তৈরির কাজে নেমে পড়েন। কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ে।
২০১৯ সালে আবার আরেকটি সেতু তৈরি করে সোহাগ। কিন্তু শক্তপোক্ত না হওয়ায় সেটাও আবার ভেঙে যায়। এরপর ইন্টারনেট থেকে পদ্মা সেতুর নকশা দেখে ২০২০ সালের নভেম্বরের এক তারিখ থেকে আবার তৃতীয়বারের মতো সেতু বানানোর কাজ শুরু করে সোহাগ। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর চলতি বছরের ২৬ মার্চ সোহাগের পদ্মা সেতু বানানোর কাজ শেষ হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



