জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাঁচটি বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার সকালে প্রথম কার্যদিবসে সংবাদকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ওই মতামত জানান।
এ গুলোর মধ্যে প্রথমে তিনি মাদকমুক্ত যশোর গড়তে চান। মাদক কেনাবেচা বা সেবন বন্ধ করতে পূর্ববর্তী পুলিশ সুপারের মতো তিনিও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। কারণ মাদক বহু অপরাধের জন্ম দেয়।
প্রত্যেক থানাকে সাধারণ মানুষের সেবাকেন্দ্র হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চান। মানুষ সমস্যার কথা জানাতে বা সেবা নিতে এসে যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় বা নিজেকে গুটিয়ে না নেয় সেদিকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী যশোরের পুলিশ কাজ করবে। অতীতে যে ভাবে সফল হয়েছে পুলিশ, সেভাবে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার অভিমত দিয়েছেন।
যে কোনো ধরনের মামলা বা অভিযোগের তদন্ত যাতে সঠিক ভাবে হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হবে। মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
সর্বশেষ পুলিশের কাজ সহজ করতে এবং কমিউনিটি বেজে মানুষকে ভালো কাজে সম্পৃক্ত করতে সারা দেশে গঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম ঢেলে সাজানো হবে। যাতে ছোটখাটো অপরাধ গুলো যেমন বাল্য বিবাহ, যৌতুক সমস্যা, গুজব, ইভটিজিং, চোরাচালানের মতো অপরাধ পুলিশের সহযোগিতায় কমিউিনিটির মানুষ সমাধান করতে পারে সে দিকে জোর দিতে হবে। এই সব বিষয়ে কাজ করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, পুলিশের কাজ বৃত্ত থেকে থেকে বিন্দুতে নিয়ে যাওয়া। আর সাংবাদিকরা সেই সংবাদ বিন্দু থেকে বৃত্তে নিয়ে যান। পুলিশের কাজ মানুষের সেবা করা। সাংবাদিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে কাজ করবে পুলিশ। এটা করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। সিনিয়রদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মার্স্টাস করা আশরাফ হোসেন পুলিশে যোগ দিয়ে প্রথমে ডিএসপিতে কাজ করেন। পরে নীলফামারি জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে কাজ করেছেন। ৩১ ডিসেম্বর তিনি যশোরে যোগদান করেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম উদ দ্দৌলা, প্রবীণ সাংবাদিক এমএ মান্নান মিয়া, প্রদীপ কুমার ঘোষ, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, তৌহিদ জামান, সিকদার খালিদ, শহিদ জয়, রিমন খাঁন, সাকিরুল কবীর রিটন, কাজী আশরাফুল আজাদ, মনিরুল ইসলাম, ইন্দ্রজিৎ রায়, রাহুল রায়, এসএম ফরহাদ প্রমুখ।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সালাউদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, জামাল আল নাসের, কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান, ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমদ প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।