আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট গঠনের কথা বলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এমনকি সংসদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পিএমএল-এনের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পিপিপি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বড় দলগুলো। তবে নাটকের এই দৃশ্যে বারবার ঘুরে-ফিরে দুটি দলই আলোচনায় আসছে। একটি নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও অন্যটি বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।
জোট গঠন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনাও করেছে দল দুটি। তবে জোট সরকরের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত আটকে ছিল। এমনকি গণমাধ্যমে খবর আসে, ভাগাভাগি করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন দুই দলের দুজন নেতা। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে নিজেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন বিলাওয়াল।
মঙ্গলবার বিলাওয়াল বলেন, বাস্তবতা হলো- কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য আমার দলের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট নেই। এ কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আমি আর থাকব না।
পিপিপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) বৈঠকের পর দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল বলেন, পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন করবে পিপিপি। পিপিপি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো মন্ত্রিত্ব চাইবে না। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পিপিপি যদি পিএমএল-এনের সঙ্গে যোগ না দিত তাহলে দেশের ক্ষতি হতো। একটা দল সবসময় ভোটের ফলের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করবে, তা হতে পারে না।
৩৫ বছর বয়সী তরুণ এই নেতা বলেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল যেন ভুল-ত্রুটি দূরে রাখে। যাতে পরবর্তী নির্বাচনের দিকে কেউ আঙুল তুলতে না পারে। আমরা এসব সমস্যা মোকাবিলায় ইসিপি, সংসদের মতো ফোরামকে ব্যবহার করব।
পিপিপি নেতা বলেছেন, তাদের সঙ্গে জোট গড়তে অস্বীকার করেছে ইমরান খানের পিটিআই। তাই তারা পিএমএল-এনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কেননা একমাত্র পিএমএল-এন তাদের জোট সরকারে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
তবে তিনি এ-ও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আসিফ আলী জারদারিকে তিনি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে হতে চান। তিনি বলেন, ‘দেশ জ্বলছে। একমাত্র আসিফ আলীই এ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।