জুমবাংলা ডেস্ক : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের চাপে মুখরিত মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ নৌ-রুট।
ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপে নাকাল এ ফেরিঘাট। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ছোট বড় মিলে ১৯টি ফেরি রয়েছে। তবে নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নৌ-রুট পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে বেশি।
অপরদিকে বৃষ্টির পানিতে ফেরিঘাটের পন্টুন এলাকা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় লোড আনলোডেও ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। যে কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। নৌ-রুটে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে ছয় শতাধিক যানবাহন এ নৌ-রুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস দেড় শতাধিক, ব্যক্তিগত ছোট গাড়িও ১৫০-এর মতো এবং তিন শতাধিক ট্রাক নৌ-রুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল।
অপেক্ষমাণ যানবাহনের মধ্যে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার অপেক্ষা শেষে বাস ও ছোট গাড়িগুলো নৌ-রুট পারের সুযোগ পেলেও দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে গরু বহনকারী খালি ট্রাক চালকেরা। নৌ-রুট পারের জন্য ৪/৫ ঘণ্টা ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদেরকে। এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।