‘পাঠাকাণ্ডে’ আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১০ জন আসামি

সিলেট ছাগল উন্নয়ন খামার থেকে ফ্রিতে খাওয়ার জন্য ‘পাঠা’ না পেয়ে ভাংচুর ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা রনজিত সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কনক পাল অরূপ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকারসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে কনক পাল অরূপ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে হামলায় আহত সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফুল ইসলামকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মে) বেলা ২টার দিকে সলেট ছাগল উন্নয়ন খামার থেকে ফ্রিতে ‘পাঠা’ না দেয়ায় জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের ওপর হামলা চালানো হয়। আহতাবস্থায় ওই কর্মকর্তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিভাগীয় পরিচালক আমিনুল ইসলাম সোমবার বলেন, ছাত্রলীগের এক নেতা ছাগল উন্নয়ন খামার থেকে ফ্রিতে ‘পাঠা’ নেয়ার জন্য তার অফিসে যান। এ সময় প্রজননের কাজের জন্য ব্যবহৃত এসব ‘পাঠা’ খাবারের জন্য দেয়া যাবে না বলে জানান তিনি।

এতে ক্ষুব্দ হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা ফোনে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। কিছু সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। তারা চরম দুর্ব্যবহার শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন তারা। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।