জুমবাংলা ডেস্ক : সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এসএএফ বাংলাদেশ) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ডিএই সদর দপ্তরে একটি সমঝোতা চুক্তি (এলওএ) স্বাক্ষর করেছে।
এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম পানি সংকটাপন্ন বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রসার করা।
এই অংশিদারিত্ব বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি (আইডব্লিউইটি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে যা ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্সেস গ্রুপ (২০৩০ ডব্লিউআরজি) এর সহযোগিতায় এবং কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি প্রধানত এডব্লিউডি এবং ড্রিপ ইরিগেশন প্রসারে কাজ করবে।
প্রকল্পটি ১০,০০০ (দশ হাজার) হেক্টর ধানক্ষেতে এডব্লিউডি পদ্ধতি সম্প্রসাণের লক্ষে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি গুলো শুধু পানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যই নয় বরং মিথেন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রয়াসকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এসএএফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জনাব, মোঃ ফরহাদ জামিল এবং ডিএই এর মহাপরিচালক জনাব, মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী । রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব, ডঃ এস এম হাসানুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, এই চুক্তির আওতায় তার টীম রাজশাহী, নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আটটি উপজেলায় এই প্রযুক্তি গুলো সম্প্রসারণে কাজ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২০৩০ ডব্লিউআরজি/বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিনিধি মাহাদী হাসান, সৈয়দা সিতওয়াত শাহেদ এবং ডঃ এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন এবং তারা পানির সংকট মোকাবেলায় সরকারী ও বেসরকারী অংশিদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
এসএএফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জনাব, আব্দুর রউফ এবং কৃষ্ণ গোপাল সেন উপস্থিত থেকে প্রকল্পের বর্তমান উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের বিষয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য যে, সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার ফাউন্ডেশন (এসএএফ) পূর্বে যা সিনজেনটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার (এসএফএসএ) নামে পরিচিত ছিল। এটি একটি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক উন্নয়ন সংন্থা যা বিগত প্রায় ৪০ বছর ধরে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে কৃষি উন্নয়নে অবদান রেখে আসছে। এসএএফ বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের কৃষি তথা ক্ষুদ্র কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
গাইবান্ধার এই ‘অচিনবৃক্ষ’ ঘিরে রয়েছে নানান রহস্য, বয়স ৫০০ বছর!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।