জুমবাংলা ডেস্ক : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাবনায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে সাঁথিয়া উপজেলায় দুগ্রুপের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আর ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পাবনা হেমায়েতপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত কর্মীর নাম জালাল উদ্দিন। এ সময় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের মানসিক হাসপাতাল সংলগ্ন বেতেপাড় এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্তাজ গ্রুপ ও হাসেম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত জালাল হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে। তিনি হাসেম গ্রুপের লোক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম গ্রুপের বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে ইসলামী জলসা নিয়ে দুগ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে শনিবার দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে পাবনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে জালালের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জালালের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সাঁথিয়ায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার উপজেলা সদরে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহতদের সাঁথিয়া ও বেড়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খাইরুন নাহার খানম মিরুকে আহ্বায়ক, ভিপি শামসুর রহমানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সালাহউদ্দিন খানকে সদস্য সচিব করে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির ২৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেন আহ্বায়ক কমিটির কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় অপর দিক থেকে এ কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে মুন্না হেলাল উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন ও হাশেমসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া টঙ্গীর সাতাইশ শরিফ মার্কেট এলাকায় মসকট গ্রুপের ঝুট নিয়ে শনিবার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর মহানগর যুবদল এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের এ ঘটনা ঘটে।
কয়েকদিন আগে সাতাইশ এলাকায় কাই অ্যালোমোনিয়ানের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে সাজেদুল ইসলাম, শেখ সুমন এবং ইকতিয়ার খান, আলাউদ্দিনের লোকজন বিরোধ চলে আসছে। দুপুর ১টার দিকে দুই দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাড়া দিতে থাকে। একপর্যায় আলাউদ্দিনের লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে অপর পক্ষের লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। অটোরিকশা ভাঙচুর ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা কারখানা থেকে ঝুট ভর্তি ট্রাক নিয়ে চলে যায়।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। ঘটনাটি পরে ঘটেছে বলে শুনেছি। আলাউদ্দিন বলেন, লোকজনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কারখানা থেকে মালামাল নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।