জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ছোট বিশাকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই মারপিটের ঘটনার পরে ওই দুই শিক্ষককে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মুক্ত হয়ে আহত দুই শিক্ষক থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে বেয়াদবি করার কারণে গত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইমন হোসেনকে থাপ্পড় মারেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে প্রধান বর্গ ও উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপস মীমাংসা করার প্রক্রিয়া করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দীন, দুলাল মেম্বার ও আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের ঝামেলা চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছোট বিশাকোল বাজারে একটি চায়ের স্টলে নবীর, দুলাল ও কুদ্দুস লোকজন নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ওই দুই শিক্ষককে চায়ের স্টলে অবরুদ্ধ করে রাখে আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে গ্রামবাসীর হস্তক্ষেপে তারা মুক্তি পায়।
ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ বলেন, ‘গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। একজন শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ আমাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুর রফিক বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষকরা থানায় এসেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।