পিত্তথলির পাথর বা গলস্টোনের কথা প্রায় হরহামেশাই শোনা যায়। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে একজনের গলস্টোন থাকে। তবে খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে এর উপসর্গ থাকে। যেসব রোগী পিত্তথলিতে পাথর থাকার সমস্যায় ভোগেন, তাদের পিত্তথলি এবং নালী দুই জায়গাতে পাথর থাকে। তবে সব সময় এমনটা ঘটবে তা নয়। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, জাপানের ১০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এ সমস্যা রয়েছে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষের মধ্যে এ হার অনেকটা কম।
পিত্তথলি যকৃতের ঠিক নিচে থাকে। পিত্তথলিতে পিত্তরস সংরক্ষণ করাই এর কাজ। চর্বি জাতীয় খাবার হজম করতে সহায়তা করে এটি। পিত্তথলির মধ্যে পিত্তরসের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। পিত্তথলির পাথর কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয়। আকারে এ পাথর শস্যদানা থেকে শুরু করে গলফ বলের মত হতে পারে।
ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কিছু পাথর একসাথে পাওয়া যেতে পারে। এখানে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে পাথর তৈরি হতে পারে। খুব কম পরিমাণ মানুষের মধ্যে এর উপসর্গ থাকে। আপনার ওজন অতিরিক্ত হলে এ সমস্যা হতে পারে। বয়স্ক লোকদের মধ্যেও এই সমস্যা থাকতে পারে।
আপনি এখানে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এর ফলে বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন। জন্ডিস ও জ্বর দেখা দিতে পারে। এটির উপসর্গের সাথে আলসার ও অগ্নাশয়ের সংক্রমণের উপসর্গের মিল রয়েছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অস্ত্রপাচারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটি বেশ সহজ একটি অস্ত্রপাচার। এ চিকিৎসার কোন জটিলতা নেই।
চিকিৎসার পর আপনি স্বাভাবিকভাবেই জীবন-যাপন করতে পারবেন। তবে যাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের দুশ্চিন্তার কারণ থাকতে পারে। ডায়েট করা বা ওজন কমিয়ে আনার মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধ করা যায়।
বেশি চর্বি রয়েছে এ ধরনের খাবার পরিহার করা উত্তম। মাংসের চর্বি, মাখন, ঘি, শক্ত পনির, কেক, বিস্কুট, পামওয়েল বা নারকেল তেল থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে এ ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।