জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পুলিশের হাত থেকে বিস্ফোরক মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁর সমর্থক ও স্বজনরা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের সাঈদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে স্থানীয়দের দাবি, আটক দুই ব্যক্তি হামলার সঙ্গে যুক্ত না, তাঁরা অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আটককৃতরা হলেন— ইন্দুরকানী উপজেলার আব্দুস সত্তার নায়েবের ছেলে মজনু নায়েব ও ইদ্রিস নায়েব।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— ইন্দুরকানী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর ও রুহুল আমিন এবং কনস্টেবল মামুন হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একটি জিয়াফত অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় বালিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান।
তিনি বিস্ফোরক মামলার আসামি। খবর পেয়ে অভিযান চলিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় হেলা খানের সহযোগী আওয়ামী লীগ সমর্থক ও স্বজনরা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও হয়।
পরে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ যাদের আটক করেছে, তারা আসামি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খান বিস্ফোরক আইনের মামলা এজাহারনামীয় আসামি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের ওপর হামলা করে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. মুকিত হাসান খাঁন বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।