লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাদ্যতালিকায় পেঁপে থাকেই। আমরা সাধারণত পেঁপের বীজ ফেলে দেই। কিন্তু পেঁপের বীজ ভিটামিনে ভরপুর। পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পরিপাক ক্রিয়া ভালো হয় এবং হজমের সমস্যা দূর করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই বীজ খুব উপকারী। পেঁপের বীজে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো জরুরি কিছু খনিজ। এটি ফ্ল্যাভোনয়েডের ভালো উৎস, যা হজমশক্তি বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আসুন জেনে নেই লিভারের সমস্যার সমাধান ছাড়াও পেঁপের বীজের নানা উপকারিতা সম্পর্কে-
পেঁপের বীজে যেসব উপকার পাওয়া যায়:
ক্ষতিকর জীবাণু নাশ: পেঁপের বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক, যা দেহে বাসা বাঁধা নানা ক্ষতিকর জীবাণুকে নাশ করে। দেহে প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে। ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে।
লিভারের সুরক্ষায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই বীজ খুব উপকারী।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে: এই রোগ প্রতিরোধে পেঁপের বীজের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেই অণুচক্রিকা কমতে শুরু করে। এই সময় নিয়মিত পেঁপে বীজ এবং পেঁপে পাতা খেলে অণুচক্রিকা আবার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে: ঋতুস্রাব চলাকালীন পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। ব্যথা অনেক কম হবে।
ওজন কমাতে: পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পরিপাক ক্রিয়া ভাল থাকে। হজমের সমস্যা থাকলে এই ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করতে পারেন। হজমশক্তি ভাল হলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
প্রদাহ কমাতে: সাধারণত পেঁপের বীজ প্রদাহ কমাতে কার্যকর। পেঁপের বীজ ভিটামিন সি, অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। এই সব উপাদান আর্থ্রাইটিস বা প্রদাহের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
যেভাবে পেঁপের বীজ খাবেন:
পেঁপে খাওয়ার আগে বীজগুলি ফেলে না দিয়ে, সেগুলি একটা পাত্রে সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নিন। এবার সেই বীজগুলি গুঁড়ো করে একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এই বীজের স্বাদ তেতো হয়। যে কোনও সালাদ কিংবা স্মুদি বানানোর সময় এই গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন, পুষ্টিগুণও পাবেন আর তেতোও লাগবে না।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।