জুমবাংলা ডেস্ক : মামলায় প্রকৃত আসামি ছাড়া কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, মামলায় যারা প্রকৃত অর্থে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে অযথা হয়রানি করা হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাগুলো আমরা গ্রহণ করছি। প্রতিটি মামলার একটি তদন্ত প্রক্রিয়া রয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে কাউকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি। এখন যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা একাধিক থানায় থাকে, তাহলে অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক্ষেত্রে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য বিশ্লেষণ করে কারও যদি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তখনই তাকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়। কাউকে অযথা হয়রানি বা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের কাজের প্রক্রিয়া দুই ধরনের। একটি হলো প্রিভেন্টিং পুলিশিং, আরেকটি হলো ডিটেকটিভ পুলিশিং। আমাদের চেষ্টা থাকে সমাজ থেকে অপরাধকে যতটুক পারা যায় মিনিমাইজ করে রাখা। এক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু কৌশলও রয়েছে, কৌশলগুলো আমরা প্রয়োগ করছি। ঢাকা শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। এক্ষেত্রে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে এবং অনেক সময় ঘটে যায়। সে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমাদের কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশিংয়ের একটি ব্যবস্থা রয়েছে। যখন একটা ঘটনা ঘটে, ঘটনার কারণ কী এবং অপরাধীদের চিন্তা কী, এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে আমরা অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ মামলার আসামি হলেই যে আমরা অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করছি, সেটি কিন্তু না। সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করি। এক্ষেত্রে কারও যদি সংশ্লিষ্টতা তা না থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
অনেক মামলার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, মামলার বাদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি মিডিয়া বলেন, মামলার ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগ করলে বাদীর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিন্তু আইন আছে। যে কেউ মনগড়া একটা অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত এবং বিশ্লেষণ ছাড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছি না। সেক্ষেত্রে বাদীদের আমরা বলব যে, তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে পুলিশ এখন পর্যন্ত কতটুকু এগিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমাদের তদন্তের বিষয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব। ঘটনার প্রকৃত কারণ ও রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব। আমাদের তদন্ত অব্যাহত আছে।
৫ আগস্ট অনেক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে কোনো মামলা করেছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলা কখনো তামাদি হয় না। যেহেতু এসব বিষয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম চলছে, সেহেতু কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।