নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা প্রধানমন্ত্রীকে সম্পৃক্ত করে কোন কথা বলতে পারেনি। অথচ সবাই প্রধানমন্ত্রী লোক বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা সুনিদিষ্ট করে কিছু বলেনি। এটা হচ্ছে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মত। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটপিচ এনে জোড়া লাগিয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কারা এ ব্যাপারে জড়িত তা খুঁজে বের করতে। জনগণের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা মনে করি জনগণ এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে কর অঞ্চল-গাজীপুর-এর উদ্যোগে ‘সেরা করদাতাগণের সম্মাননা ও সনদ পত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর অঞ্চল-গাজীপুর-এর কর কমিশনার মো: খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদত সরকার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরীর পরিচালক (ফিন্যান্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আশরাফুল হক, গাজীপুর ট্যাক্সেস বারের সভাপতি মো: আহসান উল্লাহ অন্তু,সোলায়মান হাসান ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মো: আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন যে সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সে সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বীরত্বের কারণে তাকে খেতাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কি বলেছে আর তিনি নিজে কি বলেছেন, তার রেকর্ড আছে। এছাড়া আমাদের কাছে দালিলিক প্রমাণ আছে। বিএনপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রচলিত আইনে আছে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলে না, রায় দেয়া যায় না। আদালত তাই রায়ে এ প্রসঙ্গে কিছু বলেন নি। তার মানে এই নয় জিয়াউর রহমান দায়ী নন। আমরা আক্রোশমূলক কিছু করছি না। জাতির পিতার হত্যাকারী ও সহযোগীদের ন্যূনতম বিচার হবে না, তা হতে পারে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সবার সম্পদের উপর অন্যের হক আছে। ধর্মীয় নিয়মে যা জাকাত রাষ্ট্রীয় নিয়মে তা কর। কর দেয়াটা আমাদের গর্বের, গৌরবের। আমাদের দেয়া করের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং এ সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গাজীপুর কর অঞ্চল থেকে ৬৮৮ কোটি টাকা কর দেয়া অব্যশই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।