Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home চেয়ারম্যানের স্ত্রী খুকির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে প্রাণ দিলেন মিন্নির স্বামী?
জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ

চেয়ারম্যানের স্ত্রী খুকির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে প্রাণ দিলেন মিন্নির স্বামী?

Sibbir OsmanJuly 21, 2019Updated:July 21, 20195 Mins Read
Advertisement

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল : গত ২৬ জুন সকালে বরগুনার কলেজ রোডে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে স্ত্রী মিন্নির সামনে যারা কু*পিয়ে হ*ত্যা করেন তাদের অগ্রভাগে ছিলেন রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী। প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের পাশপাশি এ দুজনের নাম বার বার উঠে আসছে। নিহত রিফাতকে কো*পানোর ঘটনায় নয়ন প্রধান আসামি ছিলেন। নয়ন-রিফাত দ্বন্দ্বের কারণ হিসেবে রিফাতের স্ত্রী মিন্নির সাথে নয়নের সম্পর্ককে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া নানা ঘটনায় নয়নের ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে ফরাজী ভাইদের সংশ্লিষ্টতা কেন? এটা জানতে ঘটনার পেছনে যেতে হবে।
ওইদিনের ঘটনার প্রকাশিত ভিডিও-তে দেখা যায়, ছোট ভাই রিশান পেছন দিক থেকে রিফাত শরীফকে জাপটে ধরে ছিলেন। আর বড় ভাই রিফাত ফরাজী দা দিয়ে কো*পান। বড় ভাইয়ের সেই দায়ের আঘাতে রিশানের হাতও অনেকটা কেটে গিয়েছিল। রিফাতকে কোপা*নোর ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে এমনই দেখা গেছে।

রাকিবুল হাসান ফরাজী ওরফে রিফাত ফরাজী ও রাশেদুল হাসান ফরাজী ওরফে রিশান ফরাজীকে এলাকার সবাই চেনেন। এই দুই ভাইয়ের বাবার নাম দুলাল ফরাজী। তাদের বাসা বরগুনা শহরের ধানসিড়ি রোডে। কিন্তু তারা থাকতেন শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার লাগোয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসায়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে তারা। প্রশ্ন হলো, নিহত রিফাতের ওপর এই দুই দুই ভাই কেন এতটা নির্মম হয়ে ওঠে? অনেকেই মনে করেন, নেপথ্যে নিশ্চয় কোনো কারণ রয়েছে। তারা বলছেন, স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সাথে নয়নের সম্পর্ক নিয়ে যেসব তথ্য জানা গেছে সে কারণে নিহত রিফাতের ওপর তার ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু রিফাত ও রিশানের সঙ্গে এমন কী ঘটেছিল, যাতে রিফাত শরীফকে কু*পিয়ে খু*নের ঘটনার অগ্রভাগে ছিলেন তারা? এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।

জানা যায়, গত মে মাসে রিফাত শরীফের সঙ্গে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সম্পর্কের সূত্রে এই খুকি হলেন রিফাত ও রিশানের খালা। খুকি ঘটনাটি দুই ভাইকে জানিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর জের ধরেই দুই ভাই রিফাত শরীফের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এবং হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির অগ্রভাগে থাকেন। ভিডিও-তে তেমনটাই দেখা গেছে। রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারি কলেজের ফটক থেকে ধরে আনার আগে থেকেই রিফাত ফরাজীকে কলেজ ফটকে অবস্থান এবং তার সহযোগীদের নানা নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। হামলার প্রস্তুতি, হামলা ও ঘটনাস্থল ত্যাগ সব কিছু ধরা পড়েছে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরার এমন একটি ফুটেজ পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছে গণমাধ্যম। এ ঘটনার শুরু মাটিয়াল থেকে। রাসেল স্কয়ারে সড়ক লাগোয়া নিজস্ব বাসা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের। বাসার প্রধান ফটকের বাঁ পাশে চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন দোকান। সেটি ভাড়া নিয়ে এক ব্যবসায়ী খাবারের হোটেল ‘মাটিয়াল ক্যাফে অ্যান্ড মিনি চায়নিজ’ করেছেন। জানা গেছে, রিফাতকে কু*পিয়ে হ*ত্যার ঘটনার আগে গত ৫ মে মিন্নি তার স্বামীকে নিয়ে ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন। রিফাত শরীফ তার মোটরসাইকেল চেয়ারম্যানের বাসার একেবারে সামনে সড়কের পাশে রাখার চেষ্টা করেন। তখন চেয়ারম্যানের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকি বাধা দেন। এ নিয়ে খুকির সঙ্গে রিফাতের বেশ কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। রিফাত তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। তখন রিফাতকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন খুকি।

স্থানীয় লোকজন বলছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা যায়। তখন থেকেই দুই ভাই রিফাত ও রিশান তাদের খালা চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে মা বলে ডেকে আসছিলেন। তারা দুই ভাই ওই বাসায়ই থাকতেন। এমনকি চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার ভাগ্নে রিফাত ফরাজীর সব অপকর্মে প্রশ্রয় দিতেন বলেও জানা গেছে। রিফাতের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই তার খালা চেয়ারম্যানের স্ত্রী খুকি প্রভাব খাটিয়ে তাকে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন।

শেখ রাসেল স্কয়ার রোডের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিফাতের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার মালিককে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাদের দোকানে বাজে ছেলেদের আড্ডা বসে। তাই এখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র চলে যাও।’ বিষয়টি তৎক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে জানানো হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন মাটিয়াল ক্যাফের মালিক মুশফিক আরিফ। তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসার প্রবেশমুখের একটি স্টল তাঁদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলাম। সেখানে খাবারের দোকান করেছিলাম। বাসার সামনে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে মাস দেড়েক আগে রিফাত শরীফের সঙ্গে আমার দোকান মালিকের স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। ওই ঘটনার পর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে স্টল ছেড়ে দেওয়ার জন্য দুই দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তখনো ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর ছিল। চেয়ারম্যানের চাপেই আমি ঘটনার ১০-১২ দিন পর দোকান ছেড়ে দিই।’ এ প্রসঙ্গে মিন্নিও জানিয়েছেন।

তিনি গত ১৪ জুলাই বরগুনা পৌর এলাকার মাইঠায় তার বাবার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগের দিন তার শ্বশুর আবদুল হালিম দুলাল শরীফ সংবাদ সম্মেলন করে তার ছেলের হ*ত্যাকা*ণ্ডে পুত্রবধূ জড়িত বলে অভিযোগ করেন এবং মিন্নির গ্রেফতার দাবি করেন। সে ব্যাপারে বক্তব্য জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, বরগুনা সরকারি কলেজ ফটকের সামনে তার স্বামীকে রিশান ফরাজী প্রথম পথ রোধ করেছিলেন। রিশান তখন দাবি করেছিলেন, রিফাত শরীফ তার মাকে (খুকি) অকথ্য ভাষায় গালা*গাল করেছেন। কেন করেছেন সেটা জানতে চান রিশান। ঠিক একই সময় রিফাত ফরাজী বলেন, ‘তুই (রিফাত) আমার চোখের দিকে তাকাইয়া ক, মাকে কেন তুই গালি দিয়েছো।’ তখন রিফাত-রিশানের সঙ্গে থাকা অন্য আসামিরা রিফাতের কাছে অ*স্ত্র আছে বলে চিৎকার করে এবং ধর ধর বলে তাকে কিলঘু*ষি মারতে শুরু করে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে বাসার বাইরে রয়েছি।’ তার স্ত্রী খুকির সঙ্গে রিফাত শরীফের বাগিবতণ্ডার কথা অস্বীকার করেন তিনি। মাটিয়াল ক্যাফের মালিকের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘দোকানে উঠতি বয়সীদের আড্ডা বসে। তাতে এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছিল। তাই হোটেল মালিককে স্টল থেকে নামিয়ে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য সাংবাদিকদের একটি পক্ষ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে।’

দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, কথা-কাটাকাটি তো দূরের কথা তার স্ত্রীর সঙ্গে রিফাতের কখনো দেখাই হয়নি। খুকিও গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন যে তার সঙ্গে কারোর এমন ঘটনা ঘটেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানান, রিফাত শরীফ হ*ত্যাকা*ণ্ডে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান সাক্ষী ও তার স্ত্রী মিন্নিসহ ১৬ জনকে গ্রে*ফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

সূত্র : কালের কন্ঠ

বি.দ্র : ফেসবুক নীতিমালার কারণে কিছু শব্দ ব্লক করে রাখা হয়েছে, এজন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
খবর রাজনীতি সংবাদ সময়’:
Related Posts
প্রত্যাবর্তন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন হবে ঐতিহাসিক: ইশরাক

December 21, 2025
কবর জিয়ারত

ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির

December 21, 2025
হাদি হল

ঢাবিতে মুজিব হলের নাম মুছে লেখা হলো ‘শহীদ ওসমান হাদি’ হল

December 21, 2025
Latest News
প্রত্যাবর্তন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন হবে ঐতিহাসিক: ইশরাক

কবর জিয়ারত

ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির

হাদি হল

ঢাবিতে মুজিব হলের নাম মুছে লেখা হলো ‘শহীদ ওসমান হাদি’ হল

সাক্ষাৎ আজ

ইসির সাথে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ আজ

যুবক গ্রেপ্তার

হান্নান মাসউদকে হুমকি দেওয়া যুবক গ্রেপ্তার

পোস্টাল ব্যালট

প্রবাসীদের কাছে ইসির পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু

হত্যার হুমকি

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকি

জানাজা আজ

৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজা আজ, সামরিক মর্যাদায় হবে দাফন

প্রধান উপদেষ্টা

হাদি অনন্তকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে : প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ

চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার ২১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.