জুমবাংলা ডেস্ক : কলারোয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত দুই দিন যাবৎ বর্ষা খাতুন নামে এক প্রেমিকা অনশনে রয়েছেন। উপজেলার ১১নম্বর দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাসেল হোসেনের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে তিনি অনশনে আছেন বলে জানা গেছে।
প্রেমিকা বর্ষা খাতুন (৩৪) যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চাকলা গ্রামের মো. জুলফিকারের মেয়ে। আর প্রেমিক রাসেল কলারোয়া উপজেলার ছলিমপুর গ্রামের আমিনউদ্দীনের ছেলে। তবে প্রেমিক রাসেল নিজকে বিবাহিত বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে প্রেমিকা বর্ষা খাতুন তার প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে পাশের বাড়িতে রাখেন। সেখানে প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক তাকে পার্শ্ববর্তী এক গ্রাম্য কবিরাজের কাছে নিয়ে সুস্থ করে প্রেমিকের বাড়িতে রাখা হয়। খবর পেয়ে খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মামুনুর রহমান ঘটনাস্থলে যান।
বর্ষা খাতুন জানায়, রাসেলে সাথে সে ঢাকায় একটি গার্মেন্টে চাকরি করত। গত ৮ মাস ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বিয়ের প্রলোভনে তার ক্ষতিও করেছে রাসেল। করোনার কারণে রাসেল বাড়িতে অবস্থান করছে। কিছু দিন ধরে রাসেল তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি সে জানতে পারে রাসেল অন্যাত্র বিয়ে করবে। তাই বিয়ের দাবিতে সে রাসেলের বাড়িতে এসেছে। এখন রাসেলের পরিবার ও গ্রাম বাসিরা বিষয়টি শান্তিপূর্ন সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে তাকে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এস.আই মামুনুর রহমান জানান, সেখানে তিনি গিয়েছিলেন। মেয়েটি সেখানে এখনো অবস্থান করছে। স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি বা সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা। তিনি আরো জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।