স্পোর্টস ডেস্ক : পুরো আসরে দাপট দেখিয়েও শিরোপাটা জিততে পারল না নাজমুল শান্ত একাদশ। লিগপর্বে দুই বারের দেখায় ২ বারই মাহমুদুল্লাহ একাদশ হারালেও, ফাইনালে এসে হারল শান্তরা।
শান্ত একাদশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা জিতে নিল মাহমুদুল্লাহ একাদশ।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামে শান্ত একাদশ। তবে শুরু থেকেই পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দলটির ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার সাইফ হাসান ৪ এবং সৌম্য ৫ রানে আউট হন।
অধিনায়ক শান্ত এদিন দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন। তবে অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে শামিল হন অন্যরা। পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি তুলে নেয়া অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এদিন মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ব্যাটসম্যান আফিফ ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
এরপর তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা চালান শান্ত। ৩২ রান করে আউট হয়ে যান দলীয় অধিনায়কও।
তবে আসরে দারুণ খেলা ইরফান শুক্কুরের ব্যাট এদিনও হাসে। হৃদয় ২৬ রান করে আউট হলেও, শুক্কুর ছিলেন অবিচল। শেষদিকে নাঈম, নাসুম, তাসকিনরা ফিরে গেছেন দ্রুতই। তবে তার আগেই শুক্কুর তুলে নেন ফিফটি। খেলেন ৭৭ বলে ৭৫ রানের একটি ইনিংস।
তার ইনিংসের সুবাদে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় নাজমুল একাদশ। তরুণ পেসার সুমন খান নেন ৫ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে এদিন ওপেন করতে নামা মুমিনুলের উইকেট হারায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। এরপর ওয়ানডাউনে নামা তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন লিটন দাস। জয় ফেরেন ১৮ রান করে।
তবে ফাইনালে দারুণ এক ইনিংস খেলেন অফফর্মে থাকা লিটন দাস। ৬৯ বলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটন দাসের দেখিয়ে দেয়া পথ ধরে সাবলীল ব্যাটিং চালিয়ে যান অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দু’জন। ৫৪ বলে ৪৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। অন্যদিকে ১১ বলে ২৩ রানের ছোট অথচ ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজনের ব্যাটে চড়ে, ২০ ওভার ৩ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় রিয়াদ একাদশ।
ফলে করোনার বিরতি কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর প্রথম টুর্নামেন্টটা জিতে নিলেন মাহমুদুল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।