জুমবাংলা ডেস্ক : মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ১৬ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন মো. জসিম উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তি। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক হত্যা মামলায় ২০০৬ সালে তার বিরুদ্ধে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডও দেওয়া হয়।
গতকাল রবিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানের নেতৃত্বে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ভোলাইল থেকে জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। জসিম সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সেজে ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ২০০৪ সালের ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় কাশেম নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন জসিম ও তার সঙ্গীরা।
ওই ঘটনায় জড়িত জসিমসহ অন্যদের নামে তৎকালীন সময়ে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন জসিম। তার অনুপস্থিতেই ২০০৬ সালের ৫ মে মামলাটির বিচার শেষ করে জসিমের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান।
তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জসীম উদ্দিন পলাতক থাকায় তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
যার কারণে তাকে গ্রেফতারও করা যাচ্ছিল না। বহু বছর তার গ্রেফতারি পরোয়ানাটি পড়ে ছিল। মাসখানেক আগে বিষয়টি আমার নজরে পড়ে। এত আগের একটি মামলা এবং আসামি দীর্ঘদিন আগে থেকে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি সহজ ছিল না।
পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসমি মশিউর রহমানকে। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজী এলাকায় তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এত বছর আগের ঘটনা হওয়ায় এবং তিনি পলাতক থাকায় তেমন কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
সেসব তথ্য নিয়ে তাকে খোঁজার চেষ্টা করি। একপর্যায়ে জানা যায়, জসিম কুমিল্লায় তার গ্রামে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।