জুমবাংলা ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ বন্যা-খরার দেশ। বন্যা আমাদের জন্য আশীর্বাদ, আবার খুব খারাপ হলে অভিশাপ। এটি বড় বন্যা নয়। এতে ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ফিলিপাইনের চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফিলিপাইনে এক লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফিলিপাইন বাংলাদেশ থেকে বেশি চাল নিতে চায়। তবে দেশের জরুরি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রথমে এক লাখ টন সেদ্ধ চাল দিয়ে রফতানি শুরু হবে।
বাংলাদেশে যে বাম্পার ফলন হচ্ছে, তাতে এখন ১০ লাখ টনের বেশি চাল রফতানি করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, তুলনামূলক কম দাম আর ভালোমানের চাল হওয়ায় ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে চাল নিতে আগ্রহী। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ফিলিপাইন সরকারও জিটুজি প্রদ্ধতিতে চাল কিনতে আগ্রহী। তবে সরকার ধানের বাজার ও আমন উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে চাল রফতানি করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এবার বোরোতে উৎপাদন ভালো হওয়ায় অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম কমে যায়। এজন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ পরিপ্রেক্ষিতে কিছু চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ সময় চাল রফতারিকারক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের কাছে মাঝারি ধরনের আটাশ ও ঊনত্রিশ চালের চাহিদা বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।