জুমবাংলা ডেস্ক: স্বাধীনতা পুরষ্কার এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পী মর্তুজা বশীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক- সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, প্রখ্যাত জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কনিষ্ঠ সন্তান মর্তুজা বশীর বাংলাদেশের শিল্পকলার পরিসরে ছিলেন অপরিহার্য ও অন্যতম উল্লেখ্য এক নাম। দৃশ্যশিল্পের বিভিন্ন শাখায় যেমন বিচরণ করেছেন তিনি, তেমনি সৃজনকলার অন্য দুটি মাধ্যম সাহিত্য ও চলচ্চিত্রেও রেখেছেন সৃজন প্রতিভার স্বাক্ষর।
রওশন এরশাদ আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর সদ্য বিকাশমান এই অঞ্চলের দ্বিধাগ্রস্ত শিল্পকলাকে যারা পর্যাপ্ত আস্থা ও উপাদান জুগিয়েছেন তিনি অবশ্যই তাঁদের মধ্যে অন্যতম।মর্তুজা বশীরের অবদান এ প্রজন্মের কাছে অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আজ সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরেণ্য চিত্রশিল্পী মর্তুজা বশীর ইন্তেকাল করেন।
শিল্পীর মেয়ে মুনিরা বশীর জানান, মর্তুজা বশীর অনেকদিন ধরেই ফুসফুস ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগেও তাকে কিডনি, ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর গতকাল বিকালে জানানো হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ও ভাষা সংগ্রামী মর্তুজা বশীরের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তাঁর বাবা প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আর মা মরগুবা খাতুন। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ মেয়ে এবং ১ ছেলের পিতা। ছোট মেয়ে এবং ছেলে ব্যাংকার।
শিল্পী মর্তুজা বশিরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট। তিনি একাধারে ভাষা সৈনিক, চিত্রকর, শিক্ষক, কবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্প নির্দেশক, গবেষক ও মুদ্রা বিশারদ। ১৯৮০ সালে তিনি একুশে পদক এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।