লাইফস্টাইল ডেস্ক : অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হতো। অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার ও উন্নতিকরণের মধ্য দিয়ে মানুষ ও অনেক ধরনের প্রাণির জীবন রক্ষা পেয়েছে।তবে বিশ্ব জুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারও বেড়েছে।এতে অ্যান্টিবায়োটিক এর কার্যকারিতাও হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। শাকসবজি, ফলমূল খেলেই সেগুলি নির্মূল করা সম্ভব।ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যেসব খাবার-
রসুন : রসুন সুপার ফুড হিসেবেই পরিচিত। এতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় শত শত বছর ধরে এটি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।এতে থাকা অ্যালিসিন উপাদান সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি হালকা রান্না বা কাঁচা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জ্ম্বুরা বীজ : জাম্বুরা বীজ নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারাতে কাজ করে।
আদা : আদাও প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং নানা ধরনের হজমজনিত জটিলতা কমায়।প্রতিদিন নিয়ম করে আদা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
বাঁধাকপি : বাঁধাকপিতে থাকা সালফার গ্যাস উৎপন্ন করে। একই সঙ্গে এটি শরীরের ক্ষতিকর সেলগুলো ধ্বংস করে। রান্নার চেয়ে কাঁচা খেলে এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান বেশি কাজ করে।
নারকেল তেল : নারকেলের তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে খুবই উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আপেল সিডার ভিনেগার : ওজন কমানো থেকে শুরু করে ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী আপেল সিডার ভিনেগার। এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
জলপাইয়ের পাতা : জলপাইয়ের পাতা ও জলপাইয়ের তেলে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই জলাপাইয়ের পাতা জ্বর সারাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতায় থাকায় থাকা অ্যালিনলিক অ্যাসিড ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাল ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে।
সূত্র : এইচএইচরিসার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।