জুমবাংলা ডেস্ক : আর্থিক সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায় এক বাংলাদেশিকে ভারতীয় বানিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগ কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দু’টি মোটর সাইকেলে উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার ডেমরাইল গ্রামের মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাড়িতে এসে প্রথমে তক্ষক সাপ বিক্রি, পরে গাজা ও জুয়া খেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে মনোরঞ্জন ও তার ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান। বেড়াতে আসা মনোরঞ্জনের বড় ছেলে স্বপন মণ্ডলের ভায়রাভাই শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মণ্ডলকে ঘর থেকে বের করে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে পুলিশ।
একপর্যায়ে মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। চারজনকে ছেড়ে দিতে মেম্বর প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। মামলা দেয়ার আগে হরিদাস মণ্ডলসহ কয়েকজন কমলেশের স্মার্ট কার্ড নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও উপপরিদর্শক জিয়ারত আলীকে দেখালেও ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ। পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কমলেশকে দুর্বল ধারায় চার্জশিট দেবেন বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিয়ারত হোসেন।
বৃহষ্পতিবার কমলেশ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এদিকে তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা পান গোয়ন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারই আলোকে জিয়ারত হোসেনকে শুক্রবার বদলি করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি বলেন, অন্যায়ভাবে কমলেশকে ভারতীয় বানিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিকার হওয়া উচিত। জানতে চাইলে
শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোলোয়ার হুসেন, স্টাণ্ড রিলিজ নয়, জিয়ারত হোসেনকে স্বাভাবিক বদলি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।