Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাংলাদেশ কবে হবে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ ?
    সম্পাদকীয়

    বাংলাদেশ কবে হবে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ ?

    March 26, 20237 Mins Read

    ড. শামসুল আলম : ২০০৯-এর পর থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক গতি ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে, যদি সামনের দিনগুলোতেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা বিশ্ব অর্থনীতিতে আবার বড় কোনো ধস না নামে।

    ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম ব্যবস্থাপনা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটেটিভ গ্রুপ ‘দ্য ট্রিলিয়ন ডলার প্রাইজ’ শিরোনামে বাংলাদেশের ওপর বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৬-২১ এই সময়ে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা তার তুলনীয় দেশ ভিয়েতনাম, ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে অনেক বেশি ভালো করেছে। এই প্রবৃদ্ধির হার নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড়ের চেয়ে দুই গুণ বেশি এবং বিশ্বের গড় হারের (২ দশমিক ৯ শতাংশ) চেয়ে অনেক বেশি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভোক্তাদের আশাবাদ, ভোগ বৃদ্ধি, তরুণ শ্রমশক্তি, উচ্চ অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা, ডিজিটাল গতিবেগ, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, ব্যক্তি খাতে দ্রুত ব্যয় বৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার। হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) গ্লোবাল রিসার্চ বলছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার। এর মধ্যে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ২০২০ সালের ১ কোটি ৯০ লাখ থেকে ২০২৫ সালে তা ৩ কোটি ৪০ লাখে দাঁড়াবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৭ শতাংশ এখনো বিশ্বাস করে, আগামী প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মের চাইতে অধিকতর ভালোভাবে জীবন কাটাবে। দেশে এখন মোট শ্রমশক্তির ১১ কোটি ৪০ লাখ তরুণ এবং জনসংখ্যার মধ্যম বয়স ২৮। সমসাময়িক তুলনীয় অর্থনীতির মধ্যে সরকারি ঋণ সবচেয়ে কম, যা মাত্র জিডিপির ১৯ শতাংশ।

    তাছাড়া দেশে এখন ডিজিটাল রূপান্তর চলমান রয়েছে এবং মোবাইল ব্যবহারকারী ১৭৭ মিলিয়ন। বিগত ১০ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার বেড়ে হয়েছে ৭০ শতাংশ। ২০১৯ সালে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে তা ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। সরকারও অর্থনীতির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিগত দশকে সরকারি ব্যয় তিন গুণ বেড়েছে। বিকাশ এখন বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সারের বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন শ্রমিকের সরবরাহকারী (বিশ্বের মোট ফ্রিল্যান্সারের ১৫ শতাংশ)। দেশে ফেসবুকে এখন ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা রয়েছে।

    বাংলাদেশের অর্থনীতি যদি ১০ শতাংশ হারে বাড়ে, তাহলে ২০৩০ সালে ৫ শতাংশ হারে বাড়লে ২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলারের বড় ইকোনমিতে পরিণত হবে। বর্তমান হারেও যদি বাড়তে থাকে ২০৪০ সালের আগেই (২০৩৫) ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। একটা বিষয় দেখা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম সহনশীল অর্থনীতির একটি। ২০০৭-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ—যা ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ও বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি ছিল। করোনার সময়েও দেখা গেছে ২০১৯-২০-এ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যেখানে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই এই হার ছিল নেতিবাচক।

    লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক কোম্পানি প্রাইস ওয়াটার্স কুপার্স (পিডব্লিউসি) ২০১৭ সালে ২০৫০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি কী হবে, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যার নাম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৫০’। এতে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশ হবে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি। লন্ডনভিত্তিক আরো একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজিনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রক্ষেপণ করে, যা ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল’ নামে পরিচিত। ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি মূল্য ২০৩৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হবে ১৬২৮ বিলিয়ন ডলার (দেড় ট্রিলিয়নের বেশি) অর্থাৎ বাংলাদেশ ২০২২ সালের ৩৪তম অবস্থান থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে ২০৩৭ সালে ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। বোস্টন কনসালটেটিভ গ্রুপ অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পরিণত হতে ২০৪০ সাল নাগাদ লাগতে পারে। হিসাব করলেও সিইবিআরের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩১-৩২ সাল নাগাদই বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক বলা হয়েছে শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত্তি, অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন, ও বর্ধিত ডিজিটালাইজেশন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’ ম্যাগাজিনও বলছে, বাংলাদেশ হলো নতুন এশিয়ান টাইগার।

    প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-এর মূল লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। দীর্ঘ মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রূপকল্পের অভীষ্ট অর্জন সহায়ক হয়েছে। অন্যান্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ছিল—২০১০ সালের পরে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করে ২০১৪ সালের পর নিরক্ষরতা দূরীকরণ; ২০১৩ সালের পর যত দ্রুত সম্ভব স্নাতক পর্যায়ে বিনা বেতনে শিক্ষাসুবিধা দান এবং বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে পর্যাপ্ত দক্ষতাসহ শিক্ষিত মানুষের দেশে পরিণত করা। রূপকল্প ২০২১-এর বেশির ভাগ লক্ষ্যই বাস্তবায়িত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২১ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার মেগাওয়াট অথচ এখন তা ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রত্যাশিত গড় আয়ু এখন লক্ষ্যমাত্রা ৭০-এর বিপরীতে ৭২ দশমিক ৮ এবং ২০১৫ অর্থবছরে লক্ষ্য অনুযায়ী ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন।

    বাংলাদেশে বিশেষভাবে গত দেড় দশকে দ্রুত অর্থনৈতিক রূপান্তর সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সত্তর দশকে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ৬০ শতাংশের ওপর। সেবা খাতের অবদান ছিল ৩৫ শতাংশের মতো, আর শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। সেখান থেকে বর্তমানে কৃষির অবদান মাত্র সাড়ে ১১ শতাংশ, আর শিল্পের অবদান বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। এর ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রতি দশকে ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১০ দশকের শেষের দিকে তা ৮ শতাংশে পৌঁছায়।

    সরকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের দিকে লক্ষ রেখে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। গত জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার দৃশ্যমান পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। গত নভেম্বরে ১০০ সেতু আর ডিসেম্বরে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা হয়। নভেম্বর কর্ণফুলী টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন ও ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের প্রথম অংশ উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০২৩ সালে যেসব মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে, সেগুলো হলো পদ্মা ব্রিজ রেলসংযোগ, ঢাকা কক্সবাজার রেললিংক, হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার এখন মানব উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিগত দশকে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার এখন কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে। ডিজিটাল আউটসোর্সিং সেবা প্রদানে সারা দেশে এখন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ তরুণ জড়িত রয়েছে। এরা অর্জন করছে বছরে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৬৮টি সরকারি ও ২৯টি বেসরকারি। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় করা হচ্ছে, যাতে বিনিয়োগের সুফল বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের বিনিয়োগ উদার নীতির ফলে ইতিমধ্যে মালটিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো যেমন বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে, তেমনি বিদেশি বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। এর ফলাফল যেমন রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি বিকল্প অভ্যন্তরীণ শিল্পের বিকাশ, রপ্তানি বহুমুখিতা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও ভোগ বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস আমরা আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে পেতে শুরু করব, যার ফলে আগামী দশকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক হাব এ পরিণত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

    বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আবার জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুসারে ২০১৮ ও ২০২১ সালের পর্যালোচনায় ধারাবাহিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সকল শর্ত পূরণ করে। গত দশকে কোভিড-১৯-এর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্য অন্যতম ছিল। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচক যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু মৃত্যুর হার, প্রত্যাশিত গড় আয়ুতে বাংলাদেশ প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণে যে সফলতা দেখিয়েছে, তা বিশ্বের খুব কম দেশের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। ২০০০ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্র্য অর্ধেক কমাতে সক্ষম হয়েছে।

    দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কম লাভজনক কৃষি হতে অকৃষি খাতে রূপান্তর, উচ্চ প্রবাসী আয়, জনসংখ্যায় নির্ভরশীলতা, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী। বয়স্ক সাক্ষরতার উন্নতির ক্ষেত্রেও বিগত দশকটি উল্লেখযোগ্য। ২০০৫-০৬ সালে বয়স্ক সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৭, যা ২০২২ সালে দাঁড়ায় ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অনুরূপভাবে ২০০৫-০৬ সালে গড় প্রত্যাশিত আয়ু ৬৬ দশমিক ৫ থেকে ২০২১ সালে ৭২ দশমিক ৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুরূপভাবে বাংলাদেশ শিশুমৃত্যুর হার, নবজাতকের মৃত্যুর হার ও পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তর এখন বিশ্ব মিডিয়া ও উন্নয়ন বিশ্লেষকদের সমীহ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ অনুযায়ী অর্থনীতিকে আগামী দুই দশকে গড়ে ৯ শতাংশ হারে বাড়তে হবে। কোভিড-১৯-এর পরিস্থিতি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে হয় তো এখন প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ বা তার কাছাকাছি থাকত। সে হিসেবে আমরা যদি বাস্তবিক প্রক্ষেপণ করি, তাহলে ২০৩০-৩২ সাল নাগাদ হয়তো আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারি। ২০০৯-এর পর থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক গতি ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে, যদি সামনের দিনগুলোতেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা বিশ্ব অর্থনীতিতে আবার বড় কোনো ধস না নামে।

    লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অর্থনীতির কবে ট্রিলিয়ন ডলার দেশ প্রভা বাংলাদেশ সম্পাদকীয় হবে
    Related Posts
    What Is Artificial Intelligence?

    What Is Artificial Intelligence? Details of Modern AI

    February 11, 2025

    বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন অপরিহার্য

    October 16, 2024

    পাহাড়ে শান্তি চাইলে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ফর্মুলাতেই যেতে হবে

    October 7, 2024
    সর্বশেষ সংবাদ
    মার্চ-টু-যমুনার
    মার্চ টু যমুনার ঘোষণা হাসনাতের
    Khaleda Zia
    পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
    প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতি
    Pakistan Air
    সব বিমানের জন্য আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান
    Lenovo Yoga Slim 7i Carbon Price in Bangladesh & India
    Lenovo Yoga Slim 7i Carbon Price in Bangladesh & India
    হাসনাত আবদুল্লাহ
    বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত : হাসনাত
    Hasanat
    আমি যদি কর্মসূচির ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন: হাসনাত
    উপদেষ্টা
    জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
    us pak
    যে দু’জনের প্রচেষ্টায় পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতি
    iQOO Neo 9 Pro Price in Bangladesh & India
    iQOO Neo 9 Pro Price in Bangladesh & India
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.