নিত্যপণ্যের বাজারে আজ দাম কমে তো কাল আবার বাড়ে। একই অবস্থা পেঁয়াজের বাজারেও। রাজধানীতে হঠাৎ করেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহবুদ্দিন বলেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়েছে। সরবরাহ না বাড়লে সামনে বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর আড়তদারা শোনাচ্ছেন মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পেঁয়াজের আড়তদার ফরিদ হোসেন জানান, দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে, ভারত থেকেও আমদানি হচ্ছে না; এর ওপর ষ্টিতে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাবে দাম বাড়ছে।
তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ ক্রেতারা। গৃহিণী রোকসানা বেগম বলেন, রান্নায় পেঁয়াজ প্রতিদিনই প্রয়োজন হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটির দাম নিয়ে প্রায়ই বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারও তাই হচ্ছে বাজারে। হঠাৎ করে দাম এতো বেড়ে গেছে যে, এক কেজির জায়গায় দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও ওঠানামা করছে দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে হাতেগোনা কয়েকটি শাক-সবজির দাম বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্যগুলোর দাম। বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে শিম, বেগুন, টমেটো, শসা, করোলাসহ কয়েকটি সবজির দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, বেশির ভাগ সবজির দামই রয়েছে অপরিবর্তিত, তবে কয়েকটির বেড়েছে। মূলত এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ বাড়েনি। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১২০-১৫০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর প্রতি আঁটি লাল শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, ডাটা শাক ২০ টাকা ও মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
চট্টগ্রামে ২০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত ২ ভূমিদস্যুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে প্রশাসন
ক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজির দাম আরও কমা উচিত। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা আরিফ বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে চলে এসেছে অনেক আগেই। তবু সবজির দাম নাগালে আসছে না। বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



