জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে গলদা-কার্প মিশ্র চাষ করে সফল হয়েছেন চাষিরা। ক্রেতাদের চাহিদা, পরিশ্রম কম এবং স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় উপজেলার মৎস্য চাষিদের এই প্রক্রিয়ায় মাছ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
স্থানীয় মৎস্য অফিস জানায়, উপজেলায় গলদা-কার্প মিশ্র চাষের পুকুর বাড়াতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। বর্তমানে পাঁচ জন চাষি এই প্রক্রিয়ায় মাছ চাষ করছেন।
মৎস্য চাষিরা জানান, প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যার পর পুকুরে তৈরি ফিড দিতে হয়। প্রতি ১০০ কেজি মাছের ওজনে দিনে ৩-৪ কেজি ফিড দিতে হয়। এছাড়া অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিলে অ্যারেটর ব্যবহার করে অক্সিজেনের জোগান দিতে হয়।
মির্জাপুর ইউনিয়নের উচড়ং গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুর রাজ্জাক টুকু জানান, প্রায় ৪ বছর আগে উপজেলায় তিনি প্রথম গলদা-কার্প মিশ্র চাষ শুরু করেন। ওই সময় মৎস্য অফিস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়। বর্তমানে তিনি ৫০ শতাংশ জায়গার পুকুরে মাছ চাষ করছেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চলতি বছর ৮ হাজার পিছ গলদা এবং ৬শ পিস কার্প জাতীয় মাছ পুকুরে ছেড়েছিলাম। ছোট থেকে বড় করে বিক্রি করা পর্যন্ত খরচ হয় দেড় লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত পৌনে ৪ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। এখনো পুকুরে দেড় লাখ টাকার বেশি মাছ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গলদা-কার্প মিশ্র চাষে তেমন ঝামেলা নেই। প্রতিদিন ভোরে এবং সন্ধ্যার পর খাবার দিতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় মাছ চাষে অক্সিজেনের সমস্যাটাই প্রধান সমস্যা। গত দুই বছর ধরে অ্যারেটর দিয়ে পানিতে অক্সিজেনের ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।’
সফল এই চাষি আরও বলেন, ‘বাজারে চিংড়ির খুব চাহিদা। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকে এই প্রক্রিয়ায় চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামী বছর ৪ বিঘা পরিমাণ জায়গার পুকুরে মাছ চাষ করবো।’
শেরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা সরকার বলেন, ‘উপজেলায় কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। কার্প মাছ পানির উপরের স্তরে থাকে। তবে মৃগেল, মিররকার্প, কমন কার্প, কালবাউশ এই ধরণের মাছগুলো চিংড়ি চাষের পুকুরে চাষ করা যাবে না। কারণ এগুলো পানির নিচের স্তরে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শেরপুরে ৫টি পুকুরে গলদা-কার্প মিশ্রভাবে চাষ করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে একজন, ২০২১ সালে তিন জন চাষি চাষ করেছিলেন। বর্তমানে পাঁচ জন চাষি চাষ করছেন। আগামীতে এই প্রক্রিয়ায় মাছ চাষ আরও বাড়বে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।