জুমবাংলা ডেস্ক: ‘ইটস ইন ইয়োর হ্যান্ড, টেক অ্যাকশন’ অর্থাৎ ‘চিকিৎসা আপনার হাতে, ব্যবস্থা নিন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস’ পালিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে (১২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটি ও ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ পৃথক কর্মসূচি পালন করে। বিভাগ দুটি পৃথক শোভাযাত্রা ও দুটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করে।এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবসের উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। জনগণকে সচেতনতার প্রধান লক্ষ্য কিভাবে তাদের এ রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। মনে রাখতে হবে একের অধিক জয়েন্ট যদি ফুলে যায়, স্টিভ বা নাড়াচাড়া না করা যায়, হাটা না যায়, এমন সমস্যাকে আর্থ্রাইটিস বলে। এর সঙ্গে আরো সমস্যা যোগ হতে পারে। এজন্য এ রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন বিভাগকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ রোগের কারণে ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হতে পারে, চোখের সমস্যা হতে পারে, রিডার সিন্ড্রোম হতে পারে। আর্থ্রাইটি, ইউরোথ্রাইটিস এবং কনজাংকভাইটিস যদি থাকে তবে তাকে রেইটার সিন্ড্রোম বলে।
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা শারীর চর্চাকে বড় করে দেখব। অ্যাবনর্মাল কাজ সব কিছুতেই ক্ষতি করে। সেটি বেশি খাওয়া, স্মোক করা, বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া, সুগার বেশী খাওয়া। এসব বিষয়ে নিজেদেরকে সচেতন রাখলে আথ্রাইটিস এড়ানো যাবে।
তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাড়িয়েছি। রিসার্চ গ্র্যান্ট বাড়িয়েছি। ফ্যাকাল্টিদের প্রোমোশন দিচ্ছি। কর্মকর্তাদের হতাশা দূর করার জন্য প্রোমোশন দিয়েছি। জার্নালকে ইনডেক্স করার প্রক্রিয়া চলছে। সব কিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণের স্পন্দন ফিরে এসেছে।
শহীদ ডা. মিলন হলে বাংলাদেশ রিমাউটোলজি সোসাইটি আয়োজিত ‘সেলেব্রেশন অব ওয়ার্ল্ড আর্থ্রাইটিস ডে এন্ড এমএ আলম ওরাটেশন’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, জাতীয় অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান, ভারতের অধ্যাপক ডা. রোহিনী হান্ডা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু শাহীন এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রিমাউটোলোজি সোসাইটর সভাপতি অধ্যাপক ডা.সৈয়দ আতিকুল হক। বাংলাদেশ রিমাউটোলজি সোসাইটির পক্ষ থেকে ভারতের অধ্যাপক ডা. রোহিনী হান্ডাকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
এদিকে ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ‘বিকলাঙ্গকে করতে সক্ষম দীর্ঘমেয়াদী এই বাত রোগের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন’ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রিউম্যাটোলজি রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের সমন্বয়ক ডা. মশিউর রহমান খসরু। সেমিনারের প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে বিভাগটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.তছলিম উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভাগের শোভাযাত্রা ও সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিত কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, উপ রেজিস্ট্রার ডা. মুহম্মদ কামাল হোসেন, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ স্বনামধন্য অধ্যাপকবৃন্দ, খ্যাতিমান চিকিৎসক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া রিউমাটোলজি রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকের মাধ্যমে ৫ হাজারের বেশি আর্থ্রাইটিস (বাতরোগ) রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন সেবা দিয়ে পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।