জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়েজিত বিয়ের অনুষ্ঠানে হঠাৎ বরের প্রেমিকা এসে হাজির হন। এরপর হৈ চৈ। তারপর জোর করে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই তরুণীকে। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী নগরের মনিবাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এমন ঘটনা ঘটে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল পুলিশ। ওই তরুণী জানিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করবেন তিনি।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি কুড়িগ্রাম। চাকরির প্রস্তুতি নিতে ঢাকায় থাকেন। পড়াশোনা করেছেন রংপুরের কারমাইকেল কলেজে। শুক্রবার বিয়ের পিড়িতে বসা যুবক কারমাইকেলে তার সহপাঠী ছিলেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বাড়ি রাজশাহীতে। শুক্রবার এক নবীন নারী আইনজীবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুটে আসা তরুণীর দাবি, কলেজ জীবনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা। কলেজ শেষ করে তারা ঢাকায় ছিলেন একসঙ্গে। ২০২১ সালে ওই তরুণ তাকে বিয়েও করেছেন। যদিও বিয়ের কোন কাগজপত্র তাকে দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে চলে আসার পরে ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমিয়ে দেন ওই তরুণ। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। বিয়ে ঠেকাতে সম্প্রতি তিনি ওই তরুণের বাড়িও যান। কিন্তু দুর্ব্যবহার করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাধ্য হয়ে ওই তরুণী যে তরুণীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হচ্ছে, তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।
তারপরেও ঠেকাতে পারেননি বিয়ে। তাই শেষমেশ তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানেই ছুটে আসেন ঢাকা থেকে। তরুণীর অভিযোগ, কেউ তার কথা গুরুত্ব না দিয়ে তাকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। স্বীকৃতি না পাওয়ায় এখন তিনি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করবেন বলে জানান।
ওই তরুণের একজন চাচা দাবি করেন, তরুণীর উদ্দেশ্য ভাল নয়। তিনি তার বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাদের বিব্রত করার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুটে আসেন ওই তরুণী।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ রকম একটা ঘটনার কথা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
পুলিশ থাকাকালেই ওই তরুণী বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চলে যান। থানায় তিনি কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।