বিশ্বজুড়ে খাদ্যের এলার্জি বেড়েই চলেছে। শিল্পোন্নত দেশে এ সমস্যা আরও বেশি প্রকট। এলার্জি বেশি রয়েছে এরকম কিছু খাবার খেয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এলার্জি মোকাবেলা করার জন্য গবেষকরা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এলার্জি বেড়ে গেলে আমাদের ত্বকের একটা অংশ লাল রং ধারণ করে। ত্বকে লাল গোটার মত ছড়িয়ে যায় অনেক জায়গায়। এতে করে বমি ও ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুধ, ডিম, চিনা বাদাম, কাঠবাদাম ইত্যাদি খাবারের কারণে শিশুদের এলার্জি হতে পারে।
বিশ্ব কেনো দিনে দিনে খাদ্য এলার্জিক হয়ে উঠছে তার কোন একক ব্যাখ্যা নেই। পূর্বে খাদ্যের বিষয়ে এলার্জিক হয়ে ওঠাকে পরিবেশগত বিষয়ের সাথে মেলানো হতো। কিন্তু বর্তমানে মানুষ অনেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সবার জ্ঞান রয়েছে।
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসলে অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অভিবাসন ঘটলে হাঁপানি বা খাদ্য এলার্জির মত ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এমনটি ঘটতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান যে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। শরীরের তাপে মানুষ কম সময় ব্যয় করে বলে ভিটামিন ডি এর অভাব হতে পারে। নতুন শিশু জন্মানোর সময় তাকে দুধ খাওয়ানো এবং একই সাথে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার যদি মা গ্রহণ করে তাহলে এলার্জির সমস্যাটি অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়।
বর্তমানে খাদ্য এলার্জির পুরোপুরি প্রতিকার নেই। তবে সংবেদনশীল খাবার এড়িয়ে যাওয়া অথবা কম খাওয়াই ভালো। তবে চুলকানি বা বমি বমি ভাব এলার্জির কারণে হয়ে থাকতে পারে। যেসব খাবার খেলে শরীরের চুলকানির মত সমস্যা তৈরি হতে পারে সেসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এরপরেও গুরুতর সমস্যা থেকে গেলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।