
জুমবাংলা ডেস্ক : জাকির হোসেন, লিটন মিয়া, আরিফ হোসেন ও আসাদুল ইসলাম। রাজধানীর বনানী এলাকার বাংলা ট্র্যাক কোম্পানির কর্মচারী। অনেক দিন ধরেই এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সবার কাছে তারা অতিমাত্রায় বিশ্বস্ত বলেই পরিচিত। ফলে তাদের কর্মকাণ্ডে কেউ কথা তোলেনি। আর একে পুঁজি করে তারা ধনী হবার স্বপ্ন দেখে। তাদের টার্গেট প্রতিষ্ঠানের লকার থেকে টাকা লুট করা। শেষটায় সেই কাজটি তারা করতে পেরেছে অনায়াসে।
ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে লকার খুলে নিয়ে যায় ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মহানগর গোয়েন্দ পুলিশ (উত্তর বিভাগ) তাদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার করে লুণ্ঠিত ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কীভাবে কোন্ প্রক্রিয়ায় তারা টাকা লুট করে।
এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি (উত্তর) জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বাংলা ট্র্যাক কোম্পানির কর্মচারী। অফিসে তাদের সবাই বিশ্বস্ত লোক হিসেবেই জানত। কিন্তু তারা সেই বিশ্বস্ততাকে পুঁজি করে কোম্পানির লকার থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাদ দিয়ে এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তারা লকার থেকে টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক অফিস রুমের ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে নেয়। পরে তারা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভির সংযোগ ছিন্ন করে। কিন্তু বিষয়টি অফিসের কেউ আঁচ করতে পারেনি। এরপর পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার অফিসের লকার ভেঙে লুট করে ৬০ লাখ টাকা। তবে বিষয়টি ধরা পড়ার পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদ আল আমিন বনানী থানায় মামলা করেন।
জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উপ-কমিশনার, উত্তর) মশিউর রহমানের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ থানা পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশ চার আসামিকে রাজধানীর নদ্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র: ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।