জুমবাংলা ডেস্ক: কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে ২০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।
শনিবার ( ২২ জুলাই ) কউক সদর দপ্তরে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ ২০২৩ থেকে ২০৪৩ সালের মধ্যে কক্সবাজার হবে একটি আধুনিক ও স্মার্ট সিটি। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় এ সৈকত কক্সবাজারকে একটি আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি বিস্তারিত এলাকা পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক কাজ আগামী মাসে শুরু হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অক্ষত রেখে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কক্সবাজারকে একটি স্মার্ট প্ল্যান হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সরকার বিদেশীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করছে, সেখানে অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দেশের দীর্ঘতম ও একমাত্র মেরিন ড্রাইভ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে এবং রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে যথাযথ সংযোগ স্থাপন করে কক্সবাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করছেন।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই তারা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছেন। মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে রয়েছে কৌশলগত নীতি পরিকল্পনা, কক্সবাজারের সব উপজেলা ও সমুদ্র সৈকত এলাকার বিস্তাারিত এলাকা পরিকল্পনা (৬৯০.৬৭ বর্গকিলোমিটার) এবং পর্যটন ও আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কক্সবাজারের জন্য স্মার্ট সিটি মডেল প্রণয়ন, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, উপযোগিতা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সেক্টরাল পরিকল্পনাও মাস্টারপ্ল্যানের মূল বৈশিষ্ট্য।’
বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ কে সমর্থন করার জন্য, কউক-এ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সেগুলো হলো- কক্সবাজার থেকে সাবরং এবং কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পর্যন্ত ক্যাবল কার স্থাপন, সমুদ্র সৈকতে ওয়াটার স্পোর্টস ও অন্যান্য বিনোদন সুবিধা চালু, ইনডোর অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, কউক মেরিনা বে রিসোর্ট, কউক কনডোনিয়াম প্রকল্প, মহেশখালীতে ইকো-রিসোর্ট এবং জীবনের সুরক্ষা ও মেরিন ট্যুরিজম জোরদার করা, ব্লু- ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প, সেন্ট্রাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), জল শোধনাগার স্থাপন এবং সমুদ্র-বিমান, ক্রুজ জাহাজ এবং হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা এবং সমন্বিত কোস্টাল জোন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারা কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় এসটিপি স্থাপনের জন্য কাজ করছেন, অন্যথায় সমুদ্রে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেলে ডেড জোন হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে, আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপকভাবে অবদান রাখতে পারবো।’
তিনি আরও জানান, তারা ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি, গোলদিঘি, বাজারঘাটা পুকুর সংস্কার ও পুনর্বাসন এবং কউক-এর জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ।
কউক-এর চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কউক এর জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, মহেশখালীতে ভাস্কর্য ও আধুনিক যাত্রী শেড নির্মাণ, কক্সবাজারের প্রধান সড়ক ( হলিডে ক্রসিং-বাজারঘাটা-লারপাড়া বাসস্ট্যান্ড) সংস্কার ও সম্প্রসারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।