বর্তমানে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে ভালো খাবারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। কারণ, অস্বাস্থ্যকর এবং অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের ফলেই বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখ দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথ বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পাঁচটি খাবারের নাম প্রকাশ করেছে।
গ্রিক দই
গ্রিক দইয়ের রয়েছে অসাধারণ কিছু খাদ্যগুণ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি টুয়েলভ এবং বিভিন্ন প্রোবায়োটিকে ভরপুর। এটি রক্তে শর্করার মান ভালো রাখে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এটি কোনোভাবেই চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। দই চিনির সঙ্গে মেশালে এর গুণাবলি নষ্ট হয়ে যায়।
সয়াবিন
বাজারে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পাওয়া যায় সয়াবিন যেমন টফু, টেম্প, এডামামে, মিসো ইত্যাদি। এর প্রতিটিই স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। সয়াবিন প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা হৃদ্রোগ, ক্যানসার এবং স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি হাড় মজবুত রাখতেও সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল
মেডিটেরিয়ান ডায়েটের অন্যতম একটি উপাদান হলো অলিভ অয়েল। এই তেলের রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে, রক্তচাপ ঠিক রাখতে, নিউরোডিজেনারেটিভ (ডিমেনশিয়া) রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে অলিভ অয়েল। এ ছাড়া লিভারের জন্যও এটি ভালো। তাই চাইলে অন্যান্য তেলের বদলে বেছে নিতে পারেন অলিভ অয়েল।
মসুর ডাল
জেনে অবাক হবেন এই তালিকায় রয়েছে মসুর ডাল, যা আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য একটি খাবার। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মসুর ডাল শরীরের প্রদাহ হ্রাস করতে বেশ কার্যকর একটি খাদ্য উপাদান। পাশাপাশি এর রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া মসুর ডাল পলিফেনল ও ফাইবারেও ভরপুর। প্রোটিন তো এতে রয়েছেই। যেহেতু এটি আমাদের দেশে সহজলভ্য একটি খাবার এবং এর বিভিন্ন রেসিপি সবারই জানা। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্নভাবে মসুর ডাল অন্তর্ভুক্ত রাখতে।
কিমচি
কোরিয়ান এই খাবার গুণের কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়েই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমন সুস্বাদু। এ ছাড়া এটি তৈরি করাও বেশ সহজ। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পাশাপাশি ক্যানসার প্রতিরোধী, অ্যান্টি–অক্সিডেটিভ ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। ওজন ঠিক রাখতেও কিমচির কোনো বিকল্প নেই। তাই চাইলেই খাবারের তালিকায় সুপার ফুড হিসেবে রাখতে পারেন কিমচি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।