জুমবাংলা ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস। একই সঙ্গে অনুষ্ঠান বর্জনের পর কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হয়। এছাড়া কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে কলেজ মাঠে অবস্থান নেয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বিশেষ অতিথি হিসেবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের নাম ছিল ব্যানারে।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসেন সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে মুহুর্তেই তিনি কলেজ ত্যাগ করে চলে যান।
এ ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং প্রতিবাদ জানায়।
বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব বলেন, জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক আছেন। তাদের প্ররোচণায় আজকে বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন এবং এ কারণে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হক জানান, অনুষ্ঠানে কিছু ত্রুটি বিচ্চুতি ছিল। এ কারণে আজকের মতো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভুল ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠানটি করা হবে। আর জামাআয়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস ফোনে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন। বরাবরই তিনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে সময়ের আগে উপস্থিত হন। কলেজের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। তিনি সাড়ে ৯টায় কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন। মঞ্চের দিকে এগিয়ে তিনি দেখেন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে তিনি কলেজ ত্যাগ করে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে না, সেখানে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।