জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় মা লায়লা বেগম (৩৬) তার চার বছর বয়সী শিশুকন্যা সৌমিকে রাস্তার ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা সফিকুল ইসলাম (৪০) এ সময় দ্রুত গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
একই সঙ্গে মা লায়লা বেগমকে আটক করে শিশুটিসহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে নিয়ে যান।
বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব জানান, বেরুবাড়ি বাজার-চর বেরুবাড়ি সড়কের ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী ব্রিজের ওপর থেকে নিজের শিশুকে ফেলে দেয় মা। সফিকুল শিশুটিসহ লায়লা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসার পর থেকে তিনি কোনো কথা বলেননি। পরে শিশুটির কাছ থেকে নাম-পরিচয় জেনে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশকেও ঘটনাটি জানানো হয়।
খবর পেয়ে শিশুটির পিতা খোকন খন্দকার (৪৫), তার ভাই ও পরিবারের অন্য লোকজন এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার ঘটনাস্থলে আসেন।
খোকন খন্দকার জানান, তারা পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর বালাবাড়ি গ্রামের অধিবাসী।
তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী লায়লা বেগম মানিসকভাবে অসুস্থ। এ অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পার্শ্ববর্তী কাশেমবাজার গ্রামে অবস্থিত বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে সৌমিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তার স্ত্রী। পরে জানতে পারেন বেরুবাড়িতে সৌমিকে ব্রিজ থেকে ফেলে দিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন লায়লা।
নাগেশ্বরী থানার এএসআই বিনয় কৃষ্ণ সরকার জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর ওই গৃহবধূ মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেবের উপস্থিতিতে বিকেল ৪টার দিকে সৌমিসহ গৃহবধূ লায়লা বেগমকে খোকন খন্দকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রওশন কবির জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এএসআই বিনয় কৃষ্ণ সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।