জুমবাংলা ডেস্ক : সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্রতি দশজনে একজন মেয়ে কৈশোরে বয়ঃসন্ধিকালীন ‘পিসিওএস’ (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম) সমস্যার সম্মুখীন হোন। কিন্তু কিশোরী ও নারীদের ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে এ রোগ যথাসময়ে নির্ণয় হয় না। ফলে তাদের বড় একটি সংখ্যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, মেটাবোলিক সিনড্রোম এমনকি এন্ড্রোমেট্রিয়াল কারসিনোমা তথা জরায়ু ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হোন।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলন হলে ‘পিউবারটাল ট্রানজিশন পিসিওএস’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলসেন্ট গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএজিএসবি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় প্রায় ৩০০ জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিএজিএসবি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা।
তিনি বলেন, ‘পিউবারটাল ট্রানজিশন পিসিওএস’ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম অর্থাৎ কৈশোরে বয়ঃসন্ধিকালীন সময় প্রতিটা মেয়ের জন্য যেমন আনন্দের, তেমন ভয়েরও। কারণ এ সময় মনোদৈহিক ও বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনজনিত কারণে তারা পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা, ওষুধের অপব্যবহার ও অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা সময়মতো নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে। তাহলে সুস্থ জাতি গঠন সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তেব্য ওবসট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইট অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী বলেন, একটি জাতিকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে নারীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনের সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। এ সংক্রান্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের সচেতন করতে হবে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের মানুষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএজিএসবি সভাপতি অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম। তিনি বলেন, কিশোরীদের শৈশব এবং কৈশরে গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা সমাধানে দেশে দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে গবেষণায় জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে সমস্যা সমাধানে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পিএমআরআই বেরেটি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান (গাইনি অ্যান্ড অবস) অধ্যাপক অমিতা রায়। তিনি বলেন, কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করতে হবে। এরসঙ্গে পিসিওএস (মনোদৈহিক সমস্যা) রোগ নির্ণয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ওজিএসবি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক লায়লা আরজুমান্দ বানু, ওজিএসবি প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ফারানা দেওয়ান।
প্যানেলিস্ট ছিলেন- ওজিএসবির ইমিডিয়েট পাস্ট সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক সালেহা বেগম চৌধুরী। আলোচনা করেন ওজিএসবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ, ওজিএসবির বৈজ্ঞানিক সম্পাদক অধ্যাপক এসকে জিন্নাত আরা নাসরীন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।