আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে নিজের দেয়া ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত ও মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এ নিয়ে পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনার বিষয়ে ইমরান বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে তার জন্য পুরো বিশ্বকে ভুগতে হবে। কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরব থাকা এবং ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ না করায় অবাক ইমরান। তিনি মনে করেন ভারতের ১.২ বিলিয়নের বিশাল মার্কেট রয়েছে তাই ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করছেনা বিশ্ব সম্প্রদায়।
কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের ভুমিকা নিয়ে ইমরান বলেন, ‘এটা (কাশ্মীর সংকট সমাধান) জাতিসংঘের জন্য একটি পরীক্ষা। এই সংস্থা কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছিল। এখন আত্মতুষ্টিতে না ভুগে বরং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। এজন্য সবার আগে ভারতকে দখলকৃত কাশ্মীরে আরোপ করা কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে।’ গত শুক্রবার জাতিসংঘে মোদির ভাষণের আধা ঘণ্টা পর ইমরান খানের ১৫ মিনিটের ভাষণের পুরোটাই ছিল কাশ্মীরিদের অধিকার ও ভারতের সমালোচনার ওপর।
এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতকে কাশ্মীর ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করছেনা। কারণ ভারতে ১.২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) মানুষের বিশাল বাজার রয়েছে।’
গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে ভারত সরকার রাজ্যটিকে দুই ভাগে ভাগ করে। সেই থেকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সেখানে কারফিউ জারি রেখেছে। এ সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, কারফিউ উঠে গেলেই রক্তস্নান হবে। এরপর ভারত তখন পাকিস্তানের ওপর দোষ দিয়ে ফের বোমা ফেলতে আসবে, তখন আরেকটি পুলওয়ামা কাণ্ড হবে।
এ প্রসঙ্গে হলিউডের ছবি ‘ডেথ উইশ’-এর বর্ণনা দিয়ে ইমরান বলেন, ‘মনে করে নিচ্ছি, আমি কাশ্মীরের জেলে রয়েছি। শুনছি ভারতীয় সেনা ধর্ষণ করছে। আমি কি সেটা মানতে পারতাম? আমি বন্দুক তুলে নিতাম। ভারত সরকার কাশ্মীরিদের সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।