আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাঁচী প্রদেশে বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে আইনপড়ুয়া এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ওই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে আটক করেছেন স্থানীয় পুলিশ। প্রত্যেকেই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যে এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতাসহ সব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাস করেন। এত নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক আলোড়ন হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের কাঁকি থানায় এফআইআর থেকে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২৫ বছর বয়সী তরুণী ওই সময় ছিলেন রাঁচীর অদূরে মফস্সল এলাকা সংগ্রামপুরে তার বান্ধবীর পাড়ায়। বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে যায় তরুণীকে। তার বান্ধবী বাধা দেওয়ার জোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার বান্ধবীকে রক্ষা করতে পারেননি।
অভিযুক্তরা তরুণীকে নিয়ে রাঁচীর আইন কলেজ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ইটভাটায় যায়। ওই ইটভাটা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ কিলোমিটার দূরে। এছাড়া রাজ্য পুলিশের ডিজি, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বাসভবন অনেক নিকটেই।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাকে তোলার কিছু পরেই বাইকটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর অভিযুক্তরা তাদের বন্ধুদের ফোন করে একটি গাড়ি নিয়ে আসতে বলে। তার পর সেই গাড়িতে তুলেই তারা তরুণীকে নিয়ে যায় ইটভাটায়। সেখানে তাঁকে ১২ জনে মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরের দিন তরুণী থানায় গিয়ে অভিযোগ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।