আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একেই বলে প্রেম। যা কোনো বাধা মানে না, কোনো উঁচ-নিচ মানে না। অর্থ দিয়ে প্রেমের বিচার হয় না, সেকথাই প্রমাণ করলেন মালয়েশিয়ান নারী। যিনি প্রেমিকের সাথে থাকার জন্য তার সমস্ত ভাগ্য বিসর্জন দিয়েছেন। তার গল্প অনেককে হতবাক করেছে। অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস, বিজনেস টাইকুন খু কে পেং এবং প্রাক্তন মিস মালয়েশিয়া পাউলিন চাই -এর কন্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেডিদিয়াহ ফ্রান্সিস নামে এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন তিনি। প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার ত্যাগ করলেন অ্যাঞ্জেলিন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রেমে পড়েছিলেন এই যুগলে। যখন তারা ভেবেছিল তাদের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক রূপ দেবার সময় এসেছে, তখন নিজের ভালোবাসার কথা বাবা-মায়ের কাছে জানানোর সিদ্ধান্ত দেন অ্যাঞ্জেলিন। কিন্তু বাবা- মা বিষয়টি মেনে নেননি।
কারণ অ্যাঞ্জেলিনের বাবা জেডিদিয়াহ-র আর্থিক অবস্থা মেনে নিতে পারেননি। বাধ্য হয়ে অ্যাঞ্জেলিনকে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। তিনি তার প্রেমিকের সাথে নতুন জীবন শুরু করার জন্য তার পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ২০০৮ সালে, অ্যাঞ্জেলিন এবং জেডিদিয়া গাঁটছড়া বাঁধেন। বিয়ের পর থেকে তারা পরিবার থেকে দূরে থাকছেন। বিয়ের পর একবার তারা অ্যাঞ্জেলিনের বাবা-মায়ের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ অ্যাঞ্জেলিনের বাবা-মা বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করে অ্যাঞ্জেলিনকে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাঞ্জেলিন তাঁর মাকে সমর্থন করেছেন।
তিনি জানান, তার বাবা অর্থ উপার্জন করতে বরাবর পরিবার থেকে দূরে ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর মা তাদের গোটা পরিবারকে বেঁধে রেখেছিলেন। অ্যাঞ্জেলিনের এই গল্প বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মনকে স্পর্শ করেছে।
সূত্র : টাইমস নাও
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।