আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন দুজন। কিন্তু সেই সম্পর্ক সমাজ মেনে নেবে না ভেবে তারা সিদ্ধান্ত নেন, যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিন যমুনার তীরে হাজিরও হন দুজন। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়ার সময়ই কাহিনিতে আসে মোক্ষম ‘টুইস্ট’! প্রেমিকা ঝাঁপ দিলেও দেননি প্রেমিক। পরে সাঁতরে ফিরে এসে প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনেন ওই নারী। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটেছে।
দেশটির স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী ওই নারী বেশ কয়েক বছর আগেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বয়সে দু’বছরের ছোট চান্দু নামক এক যুবকের সঙ্গে।
তবে বেশ কিছু দিন প্রেম চললেও মাসখানেক আগে কিছু দিনের জন্য বছর ছয়েকের মেয়েকে নিয়ে পুনেতে বেড়াতে যান ওই নারী। তখনই তাকে না জানিয়ে বিয়ে করেন চান্দু। ১৮ মে প্রয়াগরাজে ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন ওই নারী। দুজনের মধ্যে ঝামেলাও হয়। পরে তারা সিদ্ধান্ত নেন একই সঙ্গে যমুনায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হবেন।
নারীর অভিযোগ, একসঙ্গে আত্মঘাতী হবেন ভেবে যমুনা সেতুতে হাজির হন তারা। কিন্তু প্রেমিকা ঝাঁপ দেওয়ার পরই দেখেন ঝাঁপ দেননি সঙ্গী। তড়িঘড়ি সাঁতরে নদীর পারে ফিরে আসেন। যোগাযোগ করেন কয়েদগঞ্জ থানায়। চান্দুর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ। বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই নারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।