ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে মর্মাহত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে, আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না।
শনিবার রাত সাড়ে সাতটায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে বলে তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নির্বাচনী পরিবেশের কথা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি তাদের বলেছি নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তারা আমার চেয়ে বেশি অবহিত। কারণ তারা নিজের চোখে সব দেখেছেন।
তিনি বলেন, মগবাজার ইস্পাহানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন কিন্তু পরে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এছাড়া এক মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করলে তাকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত মোট ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি। এই ১২টি কেন্দ্রে আমি সরকারি দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ছাড়া আর কোন মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি।
নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি। ভোটের মাঠে এক পক্ষ ব্যতীত অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। তাদের অনুপস্থিতির কারণ আমার অজ্ঞাত।
তিনি আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এতে কোন কেন্দ্রে শতকরা ১০০ শতাংশ ভোট পড়েনি। কারণ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির সুযোগ ছিল না। রাতে ব্যালট পেপারে ছিল মেরে বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।