মির্জাপুরে মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া সরকারপাড়া জামে মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুই পক্ষই মির্জাপুর থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লির সংখ্যা কমে গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায়, এক যুগ ধরে ভাওড়া সরকারপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সম্প্রতি কমিটির কোষাধ্যক্ষ বাদল মিয়া মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা করেন। হিসেবে স্থানীয়রা গড়মিল পান। বিষয়টি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হলেও তারা কোনো সুরাহা করেননি বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় এলাকায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়। একপর্যায় গত প্রায় ৬/৭ মাস পূর্বে এলকাবাসী আব্দুল করিমকে সভাপতি এবং মাহাফুজুল হক পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত ঈদুল আযহার মাঠে মসজিদের জন্য অনুদান সংগ্রহকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নেয়।

মসজিদের ওয়াজ মাহফিল এবং বিভিন্ন সময় সুধীজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ২৪ জুলাই বর্তমান কমিটি পূর্বের কমিটির নামে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অপরদিকে মসজিদের দানবাক্স ভেঙে এবং ব্যাংকের চেক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২৫ জুলাই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে পূর্বের কমিটি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

মসজিদের বর্তমান কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, আগের কমিটি এলাকাবাসীর বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে। তারা মসজিদের টাকা আত্মসাত করেছে তার প্রমাণ এলাকার মানুষ পেয়েছে। টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পরই তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

মসজিদের পূর্বের কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন নিজেকে বৈধ সভাপতি দাবি করে বলেন, যারা মসজিদের নতুন কমিটি দাবি করেন তারা অবৈধ। অবৈধ কমিটির লোকজন মসজিদের দানবাক্স ভেঙে এবং ব্যাংকের চেক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানান।

মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ভাওড়া গ্রামের সরকার পাড়া জামে মসজিদ কমিটির দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।