আব্দুল মান্নান: সাধারণত ফসলি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি আলুর চাষ করা হলেও সখের বসে বাসার ছাদে মিষ্টি আলু চাষ করে সফল হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম।
তিনি বলেন, মার্চ মাসের মাঝামাঝি মিষ্টি আলুর তিনটি ছোট টুকরো তার রাজধানীর বনানীস্থ বাসার ছাদে ট্রেতে লাগানো হয়। তিন মাসের কম সময়ে গোবর মিশ্রিত মাটিতে (৯ ইন্চি গভীর) আলুর ফলন হয়েছে। তবে একটি আলুরই ওজন হয়েছে প্রায় ১.৫ কেজি।
ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘এত বড় মিষ্টি আলু আমি কখনো দেখিনি। মিষ্টি আলুর এরকম কিম্ভুতকিমাকার অতিকায় আকৃতির কারণও বুঝতে পারছি না।’
মিষ্টি আলু রুপান্তরিত মূল। এই আলু বাংলাদেশের একটি অবহেলিত ফসল হলেও বেশ কয়েকটি দেশে এটি মানুষের প্রধান খাদ্য। একে সুপার ফুড হিসেবেও গণ্য করা হয়। মিষ্টি আলুর গাছ একটি লতানো বিরুৎ। বৈজ্ঞানিক নাম Ipomeoa batatas। এই লতানো উদ্ভিদ অতিরিক্ত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। উষ্ণ আবহাওয়ায় মিষ্টি আলু অধিক ফলন দেয়।
জানা যায়, দোঁআশ ও বেলে দোআঁশ মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য উপযুক্ত। মিষ্টিআলু দ্বিবীজপত্রী, তৃণজাতীয় ও বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ যা সাধারণত বর্ষজীবী হিসেবে চাষ করা। চাষের জন্য লতা কেটে লাগানো হয়। মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক চিনি কাজের শক্তি প্রদান করে অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।