আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাসে মুখ না ঢেকে কাশি দেওয়ায় এক নারী যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক বাসচালক। পরে বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে ফেসবুক লাইভে এই ঘটনা জানিয়েছিলেন তিনি। পরে সেই বাসচালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যদিও তিনি ওই নারী যাত্রীর কাছ থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরের বাসিন্দা জেসন হারগ্রোভ (৫০) নামে ওই বাসচালক নারী যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনার মাত্র দুই সপ্তাহ পরই মারা যান।
ডেট্রয়েট বাসচালকদের ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেছেন, ২১ মার্চ বাসে ওই নারীর কাশি দেওয়ার ঘটনার চার দিন পরে হারগ্রোভ অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। সেখানে গত বুধবার তার মৃত্যু হয়।
হারগ্রোভের এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর জন্য কাশি দেওয়া ওই যাত্রী দায়ী কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। তবে ডেট্রয়েটের মেয়র মাইক ডুগান বলেছেন, ‘চালকের করুণ মৃত্যু গণপরিবহন শ্রমিকরা যে বিপদে আছে সেটা স্পষ্ট দেখিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি হারগ্রোভের ভিডিওটি কীভাবে দেখবেন সেটা আমি জানি না। তবে তিনি জানতেন যে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাকে এমন একজন বিপদে ফেলেছে যাকে তিনি চেনেন না এবং এখন সে চলে গেছে।’
হারগ্রোভের সাড়ে আট মিনিটের ভিডিওটি কাশি দেওয়া ওই যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার কিছুক্ষণ পরে রেকর্ড করা হয়েছিল। ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা গেছে, ‘আমরা এখানকার সরকারি কর্মী, আমাদের কাজটি করে যেতে হবে। আমাদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি সৎ জীবনযাপনের জন্য এটা করতে হচ্ছে। তবে আপনি বাসে উঠে দাঁড়িয়ে মুখ না ঢেকেই বেশ কয়েকবার কাশি দিয়েছেন এবং আপনি জানেন আমরা মহামারিটির মাঝে রয়েছি। আমি এটা সবাইকে এ জন্য জানাচ্ছি যাতে আমরা অন্য লোকদের যত্ন নিই।’
দেখুন বাসচালক জেসন হারগ্রোভের সেই ভিডিওবার্তা-
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।