জন্মস্থান আর্জেন্টিনার রোজারিও’র বাইরেও বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে মহাতারকা লিওনেল মেসির। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই ধনী অ্যাথলেটের সেসব বাড়ি বেশ দামী ও বিলাসবহুল। যেখানে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আলোচনায় স্পেনের ইবিজায় অবস্থিত মেসির ‘ইবিজা ম্যানসন’। কারণ ওই বাড়িটিতে কয়েকদিন আগে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই মেসির ইবিজা ভিলায় ভাংচুর চালায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হাফিংটন পোস্ট’। এমনকি সেই বাড়ির দেয়ালে লাল-কালো রঙে প্রতিবাদী স্লোগান লিখে দেয় তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দেখা যায়, সংগঠনটির দুই সদস্য একটি ব্যানার নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’ তাদের মতে, সরকারের নীতিমালা জলবায়ুজনিত সঙ্কট বাড়িয়ে তুলছে।
এ ছাড়া পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা মেসির ১১ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের বাড়িটি ‘পরিবেশ দূষণে সহায়ক’ বলে অভিযোগ করেছেন। তার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই। তার দাবি, স্পেনের কমিউনিস্টরা মেসির বাড়ি ধ্বংস করেছে। স্পেন সরকারের কাছে সে দেশে বসবাসরত আর্জেন্টাইন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন মিলেই।
কী আছে সেই বাড়িতে?
মেসির বাড়িটি স্পেনের এক্সক্লুসিভ এলাকাগুলোর একটি ‘কালা তারিদায়’ অবস্থিত, সেন্ট জোসেফ দ্বীপের পশ্চিমে। যার আয়তন ৫৬৮ স্কয়ার মিটার এবং সবমিলিয়ে সেটি কিনতে খরচ হয়েছে ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। বাড়ির নিচতলা–ই শুধু ৪২০ স্কয়ার মিটার বিশিষ্ট, ১৬.৭৯ মিটার বেসমেন্টের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩৮.৮৫ জায়গা রয়েছে।
বাড়ির সামনের দিকে ৯২*২ মিটার বড় সুইমিংপুল এবং দারুণভাবে সাজানো হয়েছে বাগান এবং ফুটবল কোর্ট। সেই মাঠে মেসি এবং তার তিন সন্তান থিয়েগো, মাতেও ও কিরোদের খেলতে দেখা গেছে আগে।
যে কারণে হামলা
আন্দোলনরত পরিবেশবাদীদের সংগঠন ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ ২০২২ সাল থেকে পরিবেশ বিষয়ে নানা ধরনের আন্দোলন করে আসছে। ২০২২ সালে সংগঠনটির সদস্যরা মাদ্রিদের প্রাদো জাদুঘরে স্থাপিত স্প্যানিশ শিল্পী ফ্রানসিসকো দে গয়ার পেইন্টিংয়ে আঠা লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময় এমন কাজ তারা আরও কয়েকবার করেছে। এবার মেসির বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণের দাবি তুলেছে তারা। সংগঠনটি বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে রঙ মাখিয়েছি। এই বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সাবেক এই বার্সা তারকা ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’
অন্যদিকে, স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেসির এই সম্পত্তিতে দলিলসংক্রান্ত কিছু সমস্যা আছে। শুধু সেই ম্যানশনে বাস করার অনুমতি আছে মেসির কাছে। স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, ম্যানশনের কিছু অংশ নির্মাণ নাকি অবৈধ অংশের ওপর ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।