ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে অনেক দেশের ফুটবলারের প্রতিভা সবার সামনে উন্মোচিত হয়। পেলে, কিলিয়েন এমবাপ্পের মত ফুটবলাররা অল্প বয়সেই এই বড় মঞ্চকে নিজের প্রতিভা দ্বারা আলোকিত করেন।
তবে বর্তমান সুপারস্টার লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অল্পবয়সে বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ ছিল লিওনেল মেসির খেলা প্রথম বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। ওই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ছিল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। তখন মেসির বয়স ছিল ১৮ বছর। মেসি তার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গোল করে দলের জন্য বিজয় নিয়ে আসেন।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একুশ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। রাইট উইং পজিশনে তিনি ওই সময় খেলেছিলেন। ঐ দিন পর্তুগালের প্রথম ম্যাচ হল অ্যাঙ্গোলার বিরুদ্ধে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ওই ম্যাচে কোন গোল করতে পারেননি তবে পর্তুগাল ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল।
পেলে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। এটি ছিল তার প্রথম বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। ওই সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। পেলের প্রথম ম্যাচ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। তবে এই ম্যাচে তিনি কোন গোল করতে পারেননি।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে পেলে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় নন। সব থেকে কম বয়সে যিনি ফিফা বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন তার নাম নরম্যান হোয়াইটসাইড। তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের নাগরিক। উত্তর আইল্যান্ডের ফুটবলার হিসেবে ১৯৮২ বিশ্বকাপে তিনি অংশগ্রহণ করেন। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে তিনি যুগোস্লাভিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি পেলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হওয়ার রেকর্ডটি ভেঙে দেন।
তবে নরম্যান হোয়াইটসাইড থেকে পেলে একটি জায়গায় এগিয়ে থাকবেন। নরম্যান 1982 সালের বিশ্বকাপে একটি গোলও করতে পারেননি। কিন্তু পেলে নিজের প্রথম গোল করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।